টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: তিন চাকার অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। পরিবেশ বান্ধব অ্যাম্বুল্যান্স প্রদানের প্রস্তাব নিয়ে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত ঘোষের গ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতে দরবার করেছেন বাঁকুড়ার বিজেপি (BJP) সাংসদ। তার পর থেকে বিজেপি এবং তৃণমূলের অন্দরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির নিচে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের ছবি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল (Viral) হয়েছে। ওই ছবিতে রয়েছেন ছাতনা ব্লকের ঘোষের গ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতে প্রধান শান্তনু কুণ্ডু, প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পরমেশ্বর কুণ্ডু-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। শান্তনুবাবু জানাচ্ছেন, এদিন সন্ধের নাগাদ আচমকাই সদলবলে গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে হাজির হন সুভাষ সরকার। তিনি এলাকাবাসীর জন্য তিন চাকার ব্যাটারি চালিত অ্যাম্বুল্যান্স দেবেন বলে প্রস্তাব দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: হাতুড়ে ডাক্তার থেকে জমি ‘লুটেরা’ শাহজাহানের ভাই সিরাজ, ‘তৃণমূলের কেউ নন’, দাবি পার্থ-সুজিতের]
লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election) প্রক্কালে এই ছবি হাতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির সেটিংয়ের দাবি প্রমাণে মরিয়া বামেরা রাজনীতির ময়দানে নেমেছে। বাঁকুড়া জেলা সিপিএমের (CPM) সম্পাদক অজিত পতি বলছেন, ”বিজেপির (BJP) সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং রয়েছে, এই দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। এইটা নতুন কিছু নয়। লোকসভা ভোটের আগে সেই সেটিং করতেই তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।”
পদ্মফুল শিবিরের অন্দরেও সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar) বিরোধী শিবিরও সরব। ইতিমধ্যেই তাঁরা এই ছবি পৌঁছে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা রাজ্যের পর্যবেক্ষক সতীশ ধন্দ, মঙ্গল পাণ্ডে, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা সুকান্ত অধিকারীদের। বিজেপি নেতা জীবন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ”সন্দেশখালিতে যখন গণতন্ত্র লুন্ঠিত হচ্ছে। মহিলাদের ইজ্জৎ রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার। তখন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েতে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। এটা লজ্জাজনক।” তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন আচরণে বিজেপি কর্মীদের মনোবল ভাঙছে।
[আরও পড়ুন: ‘ডার্ক ওয়েবে অবৈধ লীলা খেলা চালায় সুপারস্টাররা! কেন্দ্র পদক্ষেপ করুক’, কঙ্গনার নিশানায় কারা?]
তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলছেন, ”গত পাঁচ বছর উনি বাঁকুড়ার মানুষের জন্য কিছুই করেননি। তাঁর সাফ কথা, মরণকালে হরিনাম করে কী হবে? উনি আর কোথাও কল্কে পাচ্ছেন না, সেই কারণেই তিনি দোরে দোরে ঘুরছেন। ওই ঘোষের গ্রাম গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান শান্তনু কুণ্ডু সুভাষ বাবুর প্রস্তব ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে বিতর্ক যাই হোক না কেন, সুভাষ বাবুর বক্তব॥ গ্রামবাসীদের স্বার্থে তিনি বাঁকুড়ার ১৯০ গ্রামপঞ্চায়েতই ওই তিন চাকার পরিবেশ বান্ধব অ॥াম্বুলেন্স দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।