সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সানি দেওল নিরুদ্দেশ! তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনই পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে পাঠানকোটের একাধিক এলাকা। না, সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। বাস্তবেই অভিনেতার বিরুদ্ধে এহেন পোস্টারে ছয়লাপ পাঞ্জাব। কিন্তু কেন?
আসলে অভিনেতার পাশাপাশি তিনি গুরদাসপুরের বিজেপি সাংসদও (BJP MP)। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, সাংসদ হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের ভাল-মন্দের খবর নেওয়ার কোনও চেষ্টাই করেননি সানি। নিজের লোকসভা কেন্দ্রে কোনও প্রয়োজনেই পাওয়া যায়নি তাঁকে। এককথায়, তিনি ‘নিরুদ্দেশ’। পাঠানকোটের বাড়ির দেওয়াল থেকে রেল স্টেশন, এমনকী গাড়ির পিছনেও সেঁটে দেওয়া হয়েছে সানি দেওলের (Sunny Deol) নিরুদ্দেশ হওয়ার পোস্টার। যেখানে লেখা, “নিরুদ্দেশের খোঁজ চলছে।”
[আরও পড়ুন: পাহাড় প্রমাণ জালিয়াতি, নতুন মামলায় ফের পুলিশ হেফাজতে গার্ডেনরিচের আমির খান]
২০১৯ সালে গুরদাসপুর (Gurdaspur) লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন সানি দেওল। সেলিব্রিটি সত্ত্বাকে কাজে লাগিয়ে সহজেই নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, তার পর থেকে কোনওদিনই সে এলাকায় আসেননি তিনি। আর সেই কারণেই তাঁদের দাবি, কোনও কাজ না করলে ইস্তফা দিন অভিনেতা-সাংসদ সানি। বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে সরব এক স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছেন, “সানি দেওল নিজেকে পাঞ্জাবের ছেলে বলে দাবি করেন। অথচ সাংসদ হওয়ার পর কখনও গুরদাসপুর আসেননি। কোনও শিল্পোন্নয়ন ঘটেনি এখানে। সাংসদদের জন্য বরাদ্দ অর্থ খরচ করে কোনও উন্নতি সাধন হয়নি। এমনকী কেন্দ্রীয় কোনও স্কিমও চালু করেননি তিনি। যদি তিনি কোনও কাজই করতে না চান, তাহলে তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত।”
সাংসদ হিসেবে এর আগেও জনগণের অসন্তোষ কুড়িয়েছেন ধর্মেন্দ্রপুত্র। এমনকী কৃষি বিল প্রত্যাহার আন্দোলনের সময়ও তাঁকে পাশে পাননি স্থানীয়রা। যে কারণে একাধিকবার বিরোধীদের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। নিজের এলাকার জন্য তাঁর এহেন উদাসীনতা আর মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয়রা। সেই কারণেই পোস্টার ছাপিয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন তাঁরা।