রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) চাকা গড়ানোর আগেই সরকারি এই প্রকল্প নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিল বিজেপি। এমনিতে এই সুপারফাস্ট ট্রেন (Superfast Train) নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক প্রচার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সুখ্যাতি করা তো রয়েইছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ট্রেনের রুট নিয়েও নানারকমের আবদার। বিজেপির (BJP) সাংসদ-বিধায়করা চাইছেন, এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস স্টপেজ দিক তাঁদের এলাকাতেও। যাতে বুক ফুলিয়ে এই ট্রেন চালানোর কৃতিত্ব নিজেদের এলাকায় গিয়ে তাঁরাও দাবি করতে পারেন।
খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যেমন বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনি বৈষ্ণবকে (Ashwini Vaishnaw) চিঠি লিখে আবদার করেছেন, বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত বোলপুরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের একটা স্টপেজের ব্যবস্থা করতে হবে। আসলে অনুব্রতহীন বীরভূমে জমি শক্ত করতে চাইছে বিজেপি (BJP)। সেই লক্ষ্যেই ওই জেলাকে প্রাধান্য দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্তর দাবি আবার মেনেও নিয়েছে রেলমন্ত্রক। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হয়েছে বোলপুরে। এর পাশাপাশি মালদহ টাউন এবং বারসোই স্টেশনেও দাঁড়াবে এই এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে বিজেপি সূত্রের খবর শুধু সুকান্ত নন। আরও বহু সাংসদ-বিধায়কই চাইছেন তাঁদের এলাকায় ট্রেনের স্টপেজের ব্যবস্থা করা হোক। অন্তত যাত্রা শুরুর দিন বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় ট্রেন থেকে নামতে মরিয়া।
[আরও পড়ুন: এক রাতে ৬ ডিগ্রি নামল কলকাতার পারদ, বছর শেষে ঠান্ডায় কাঁপছে তিলোত্তমা]
বিজেপি সূত্রের খবর, দলের বেশিরভাগ সাংসদ ও বিধায়কদের উদ্বোধনের দিন হাওড়া স্টেশনে থাকতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর বিজেপির একাধিক সাংসদ, বিধায়করা চাইছেন, ট্রেনটিতে চড়ে নিজের নিজের এলাকায় নামতে। তাই বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড় করানোর আবদার শুরু করেছে বিজেপি। বন্দে ভারত নিয়ে দলের প্রচারকে তুঙ্গে তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যারা আগে আবেদন করেছেন তারা ট্রেন চড়ার সুযোগ পাবেন। উদ্বোধনের দিন বেশ কিছু স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে, সেখানে নেমে যেতে পারবেন উচ্ছুকরা।
[আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘণ্টাখানেক লোকাল ট্রেন নিয়ন্ত্রণ, ভোগান্তির আশঙ্কা]
৩০ ডিসেম্বর ট্রেনটি উদ্বোধনের সময় হাওড়া স্টেশন চত্ত্বরে বিজেপির তরফে নানা কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। দলীয় পতাকা, প্ল্যাকার্ডও লাগানো হবে। এছাড়া, ওইদিন বিভিন্ন স্টেশনেও থাকবেন বিজেপি কর্মীরা। বাংলায় বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করাও বন্দে ভারত ট্রেনে বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠবেন। শোনা যাচ্ছে ট্রেনে চড়তে পারেন লকেট চট্টপাধ্যায়, সুকান্ত মজুমদার, এস এস আলুওয়ালিয়া, খগেন মুর্মু, রাজু বিস্তরা। কারণ এদের এলাকা ছুঁয়েই যাবে এই ট্রেন। তবে সব সাংসদ, বিধায়ককে ট্রেনে চাপানো হবে না। অনেককে বলা হয়েছে নিজের এলাকায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে স্বাগত জানাতে।