রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কসবার ভুয়ো টিকা কাণ্ডের (Kolkata Fake Vaccine Case) প্রতিবাদে সরব বিজেপি। সোমবার কলকাতা পুরসভা অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে পদ্মশিবিরের। তবে বর্তমানে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে জারি রয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভা অভিযানের প্রশাসনিক অনুমতি পাওয়া কার্যত অসম্ভব। সূত্রের খবর, এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই শাসক দলের চাপ বাড়াতে মরিয়া পদ্মশিবির। তাই কলকাতা পুরসভা ঘেরাওকে সফল করতে একগুচ্ছ কৌশল অবলম্বনের ভাবনা বিজেপির।
এর আগেও বিজেপি (BJP) একাধিক ইস্যুতে পথে নেমেছে। নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়েছে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, কড়া পুলিশি প্রহরা সেই কর্মসূচি ‘সফল’ হতে দেয়নি। এবার যাতে তা না হয় তাই আটঘাট বেঁধে নেমেছে গেরুয়া শিবির। রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। তাই বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় একসঙ্গে বেশি কর্মী-সমর্থক আসতে পারার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। পথে তাঁরা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলকে বহরে বড় করার ভাবনাচিন্তা করা হয়েছে। বিজেপির যুব এবং মহিলা মোর্চার এই মিছিলকে যেকোনও জায়গায় পুলিশ আটকাতে পারে। সেক্ষেত্রে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মিছিলের শুরুতেই রাখা হবে মহিলাদের। তবে গেরুয়া শিবিরের মূল লক্ষ্য যেকোনও পন্থায় কলকাতা পুরসভার সামনে পৌঁছতে হবে। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। সোমবার বিজেপির কলকাতা পুরসভা অভিযানের দিকেই নজর রয়েছে সকলের।
[আরও পড়ুন: দুগ্গা দুগ্গা! করোনা আবহেই কুমোরটুলি থেকে জার্মানি-আমেরিকায় পাড়ি দিল ফাইবারের দুর্গা]
উল্লেখ্য, গত মাসে প্রকাশ্যে আসে কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড। দেবাঞ্জন দেবের ওই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakrabortty)। মেসেজ না আসায় সন্দেহ হওয়ার ফলে কলকাতা পুরসভায় অভিযোগ জানানোর পর ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর্দাফাঁস হয়। একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে দেবাঞ্জনের যোগাযোগ ছিল বলেই দাবি বিজেপির। এই ঘটনার তদন্তে SIT গঠন করা হয়েছে। বিজেপি তাতে অখুশি। পরিবর্তে প্রতারণা কাণ্ডের প্রকৃত সত্য উদঘাটনে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিতে সরব গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্যভবনে সেকথা জানিয়েছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।