অর্ণব দাস, বারাকপুর: সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপির মিছিলে পুলিশি বাধার অভিযোগ। পুলিশ-বিজেপি কর্মী বচসায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাকপুর স্টেশন চত্বর। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক লাঠিচার্জ পুলিশের। জলকামানও ব্যবহার করে পুলিশ। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর বিজেপি নেতা-কর্মীদের। আহত বহু। উত্তপ্ত এলাকা। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। পুলিশকে ‘নপুংসক’ বলে আক্রমণও করেন তিনি।
সোমবার আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে সিপি অফিস ঘেরা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। অশান্তির আশঙ্কায় এদিন সকাল থেকে পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় চিড়িয়া মোড় থেকে সিপি অফিস পর্যন্ত এলাকা। ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় বিজেপির কর্মসূচি। চিড়িয়া মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে বিজেপির মিছিল। পালটা বাধা দেয় পুলিশ। এর পরই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
[আরও পড়ুন: ইডির তলব এড়ালেন শেখ শাহজাহান, ২৪ দিন পরেও ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতা]
বিজেপি কর্মীদের রুখতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। চলে জলকামান। শীতের দুপুরে কাক ভেজা হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়ে বিজেপি। সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আহত বিজেপি কর্মীদের। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। পালটা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে অভিযান। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মানুষের জীবন ব্যাহত করতে গিয়েছিল। পুলিশের দিকে ইট ছুঁড়েছে। পুলিশ তো বাধা দেবেই। সিপিএমের আমল হলে পুলিশ গুলি চালাতো, শীতলকুচি হলে সিআরপিএফ গুলি চালাতো।” ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে তিনি আরও বলেন, “শীতের দুপুরে সুকান্তবাবু স্নান করেছেন। কী আছে, সকালে তো করতে হয়নি।”