shono
Advertisement

নির্বাচনী বন্ডের দুই-তৃতীয়াংশ টাকাই BJP’র তহবিলে, এক বছরে আয় ২,৫৫৫ কোটি, দাবি রিপোর্টে

আরও কমল কংগ্রেসের প্রাপ্ত চাঁদার পরিমাণ।
Posted: 09:59 AM Aug 10, 2021Updated: 10:39 AM Aug 10, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ডে চাঁদার দুই-তৃতীয়াংশ টাকাই গিয়েছে বিজেপি-র তহবিলে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশনের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে মোট ৩,৩৫৫ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আর সেখানেই ৭৬ শতাংশ অর্থ গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের তহবিলে।

Advertisement

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডে জমা পড়া টাকার মধ্যে ২,৫৫৫ কোটি টাকা পেয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ যা কিনা মোট চাঁদার দুই-তৃতীয়াংশ। এর আগের অর্থবর্ষে বিজেপি পেয়েছিল ১৪৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে বিজেপির প্রাপ্ত চাঁদার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৭৫ শতাংশ। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে মাত্র ৩১৮ কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল। যা মোট নির্বাচনী বন্ডের মাত্র ৯ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে কংগ্রেস চাঁদা পেয়েছিল ৩৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ তাঁদের প্রাপ্ত চাঁদার পরিমাণ কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ।

[আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত Kashmir, অনন্তনাগে বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করল জঙ্গিরা]

তৃতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই অর্থবর্ষে ঘাষফুল শিবির পেয়েছে ১০০ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া স্ট্যালিনের ডিএমকে ৪৫ কোটি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ৪১ কোটি, শরদ পওয়ারের এনসিপি ২৯ কোটি ২৫ লক্ষ, অরবিন্দ কেজরিবালের আম আদমী পার্টি ১৮ কোটি এবং লালুপ্রসাদের আরজেডি আড়াই কোটি টাকা পেয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে।

আসলে, ২০১৪ সালের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পুরোদস্তুর বদলে গিয়েছে। একটা সময় গোটা দেশে যে কংগ্রেস অপ্রতিরোধ্য ছিল, তারাই এখন প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। সাত বছর কেন্দ্রে ক্ষমতায় নেই। রাজ্যগুলিতেও একের পর এক ক্ষমতা হারিয়েছে দল। স্বাভাবিকভাবেই কমছে দলের তহবিলে জমা পড়া চাঁদার পরিমাণও। তাছাড়া, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ক্রমাগত কর্পোরেটদের আক্রমণও কংগ্রেসের জন্য গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো হয়েছে। ফলে কংগ্রেসের কর্পোরেট চাঁদার পরিমাণ এই মুহূর্তে তলানিতে। অন্যদিকে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই কর্পোরেটদের সঙ্গে সখ্য তৈরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। যার সুফল এখনও পাচ্ছে বিজেপি।

[আরও পড়ুন: ফের গান্ধী স্মৃতিতে কোপ! সবরমতী আশ্রম ভেঙে মিউজিয়াম বানাতে চায় Gujarat সরকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement