রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: উপনির্বাচন মোটে বাংলার চার কেন্দ্রে। প্রার্থী চারজন। আর তার জন্য ৪০ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। তালিকায় রয়েছেন দিলীপ, লকেট, অগ্নিমিত্রা এবং তাপস রায়ের মতো পরাজিত প্রার্থীরা। আবার তেমনই রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর মতো বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তারকা প্রচারকের তালিকায় রয়েছেন সাংসদরাও। রয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষও।
লোকসভা নির্বাচনের মুখে বারবার বঙ্গে প্রচারে এসেছেন মোদি-শাহের মতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তা নিয়ে রাজ্যের শাসক শিবির বারবার তোপও দেগেছে বিজেপিকে। তবে আশানুরূপ ফল হয়নি। এত ভোটপ্রচার, কাদা ছোড়াছুড়ির পরেও ঘাসফুলের দাপটে বাংলায় সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পদ্মশিবির। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কমেছে আসন সংখ্যা। আঠারোর থেকে কমে দাঁড়িয়েছে বারোয়। সামনেই উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের ফলের পুনরাবৃত্তি হোক, তা স্বাভাবিকভাবে চান না দলের কেউই। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের মতামত মাথায় রেখে এবার প্রার্থী বাছাই করা হয়। বলে রাখা ভালো, গত বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবারও মানিকতলায় প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। মতুয়াগড় হিসাবে পরিচিত বাগদায় প্রার্থী করা হয়েছে বিনয়কুমার বিশ্বাসকে। রানাঘাট দক্ষিণের প্রার্থী মনোজকুমার বিশ্বাস। মানসকুমার ঘোষকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের জন্য টিকিট দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের দুর্ঘটনাস্থলে যেতে দেরি কেন? কেন্দ্রকে দুষে ব্যাখ্যা দিলেন মমতা]
এই চার প্রার্থীর জয়ই এখন মূল লক্ষ্য দলীয় নেতৃত্বের। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের হতাশা ভুলে কোমর বেঁধে প্রচারে ঝাঁপাতে হবে, সে নির্দেশ দলীয় নেতাকর্মীদের আগেই দেওয়া হয়েছে। পদ্মশিবিরের নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত বলেই জানা গিয়েছে। ভোটের প্রচারে যাতে এতটুকু গাফিলতি না হয়, সে কারণেই ৪০ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ১০ জুলাই রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তৃণমূল প্রার্থীদের হারিয়ে ওই আসনগুলি নিজেদের দখলে নিতে পারে কিনা বিজেপি, সেটাই এখন দেখার। অবশ্য ফলাফল জানতে আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সকলকেই।