সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রথমবার বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি এবং শি জিনপিং। ২০১৯ সালের পর এই প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। রাশিয়ায় ব্রিকস সামিট চলাকালীনই হল এই বৈঠক। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় টহলদারি নিয়ে একমত হয়েছে ভারত এবং চিন। তার পরে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বরফ গলার ইঙ্গিত দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।
১৬তম ব্রিকস সামিট চলছে রাশিয়ার কাজানে। সেখানে অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেই যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সামিটের প্রথম থেকেই সৌহার্দ্যের মেজাজ দেখা গিয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে ব্রিকস নেতারা নৈশভোজে যোগ দেন। সেখানেই মোদিকে দেখা যায় জিনপিংয়ের একটি আসন পরেই। নৈশভোজে একফ্রেমে দেখা যায় তাঁদের। হাসিমুখে পুতিনের সঙ্গে ছবি তোলেন যুযুধান দুই দেশের প্রধান।
দুই নেতাকে একসঙ্গে দেখার পরেই ওয়াকিবহাল মহলের মত ছিল, এবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন মোদি-জিনপিং। যদিও গত পাঁচ বছর তাঁদের মধ্যে কোনও বৈঠক হয়নি। ২০২০ সালে গালওয়ানে ঘটে গিয়েছে সেই রক্তক্ষয়ী সংঘাত। তার জেরে ব্যাপক অবনতি ঘটেছে দুই দেশের সম্পর্কে। সীমান্তে বেড়েছিল উত্তেজনা। দুপক্ষই বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায়। তবে ব্রিকস সামিট শুরুর আগেই জানা যায়, দীর্ঘ চার বছরের আলোচনায় অবশেষে একমত হয়েছে ভারত-চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে দুই দেশ পদক্ষেপ করবে, এমনটাই জানা যায়।
তার পরেই আশা ছিল, এবার হয়তো দুই দেশের বরফ গলবে। মুখোমুখি আলোচনায় বসবেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। পাঁচ বছর পরে অবশেষে বৈঠকে বসলেন মোদি-জিনপিং। ব্রিকস সামিটের ফাঁকেই আলোচনায় বসলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত চার বছর ধরে ভারত-চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ। সমস্যা হয় ভিসা পেতেও। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পরে কি মিটবে সেই সমস্যা?