ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও শুভঙ্কর বসু: পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় মণীশ শুক্লার বাড়ি গেলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সঙ্গে ছিলেন অর্জুন সিং ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তাঁরা কথা বলেন প্রয়াত নেতার স্ত্রী ও বাবা-মায়ের সঙ্গে। আশ্বাস দেন পাশে থাকার। অন্যদিকে এদিনই মনীশ শুক্লা খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য বিজেপি।
প্রত্যাশা মতোই মনীশ শুক্লা খুনের (Manish Sukla Murder) ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য বিজেপি। দলের তরফে এদিন আদালতে যান বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। মামলায় বলা হয়েছে, পুলিশই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছে মনীশের পরিবার। সে ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখা বা সিআইডি ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে অবিলম্বে এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত।
কিন্তু মনীশের পরিবারের তরফে কেউ কেন আদালতের দ্বারস্থ হলেন না? প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল জানিয়েছেন, মণীশ নিজে একজন আইনজীবী ছিলেন। তাছাড়া খুনের ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার। পুলিশ তাদের লাগাতার হুমকি দিচ্ছে। সে কারণেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হতে ভয় পাচ্ছেন। তাই আইনজীবী হিসেবে এই ঘটনায় তিনি পরিবারের হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করল UGC, রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামও]
এই হাইপ্রোফাইল খুনের ঘটনার পর থেকেই পুলিশ প্রশাসনকে তুলোধোনা করছে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশি মদতেই এই খুনের ঘটনা। অভিযোগের আঙুল সরাসরি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ ভার্মার দিকে। খুনের পর পরিবারকে তিনি হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করছে রাজ্য বিজেপি। মামলার বয়ানে প্রিয়াঙ্কা দেবী আরও উল্লেখ করেছেন, গোটা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। এই ধরনের ঘটনার কারণে শিক্ষিত মানুষ রাজনীতিতে আসতে চাইছেন না। পুলিশ দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষভাবে করতে পারে না। আগামী সোমবার মামলার শুনানি সম্ভাবনা।