সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেকারত্ব ইস্যুতে রাজ্যকে তুলোধোনা করলেন বিজেপি (BJP) নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কটাক্ষ, রাজ্যে কত বেকার (Unemployment) রয়েছেন তা জানেই না সরকার। তাই রাজ্যে বিভিন্ন মেলা হলেও কোনওদিন জব ফেয়ার করেনি তাঁরা। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে রাজ্যে যেকার যুবক-যুবতীদের বঞ্চিত করার অভিযোগও করে বিজেপি নেতা।
মঙ্গলবার বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শমীক ভট্টাচার্য। সেখান থেকে তাঁর অভিযোগ, স্রেফ কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলে জব ব্যাংক তৈরি করেন। ফলে বাংলার লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীর এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের কার্ডের কেনও মূল্য রইল না। অথচ তাঁরা এ বিষয়ে জানেও না। তাঁরা আজও চাকরির আশা করে বসে আছেন।
[আরও পড়ুন : গরুপাচার কাণ্ডে এবার CBIএর স্ক্যানারে পুলিশ, জেরার মুখে এনামুল ঘনিষ্ঠ ২ জন]
বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, রাজ্যের তৃণমূল সরকার স্রেফ কেন্দ্র বিরোধিতা করতে চায়। তাই কেন্দ্রের প্রকল্প রাজ্যে চালু করে না। কেন্দ্র বেকার যুবক-যুবতীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রকল্প এনেছে। কেন্দ্র ব্যবস্থা করেছে যাতে বেসরকারি সংস্থার কাছেও শিক্ষিত যুবক-যুবতীর বয়োডেটা পৌঁছে যায়। তাও সম্পূর্ণ নিখরচায়। কিন্তু রাজ্যে সে পথে হাঁটেনি। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জব ফেয়ারের কথাও টেনে আনেন শমীকবাবু। তাঁর কথায়, “দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যে এই মেলা হয়। সরকার যখন জানেন তাঁরা চাকরি দিতে পারবেন না, তাঁরা এই মেলার আয়োজন করে। এমনকী, পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারও এই পথে হাঁটে। একমাত্র বাংলায় হয় না। বাংলায় কোনও শিল্প মেলা, কর্মসংস্থান মেলা হয় না।”
বিজেপি নেতার আরও কটাক্ষ, রাজ্য আসলে জানেই না কতজন বেকার রয়েছে। এক লক্ষ মানুষ যুবশ্রী ভাতা পায়। অথচ ওই ভাতার জন্য ৩৫ লক্ষ মানুষ আবেদন জানিয়েছেন। তাঁরাও বেকার। কিন্তু সরকার তাঁদের সহায়তা দেয় না। অর্মত্য সেনকে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ছায়াযুদ্ধ চালাতে চাইছেন। এ বিষয়ে বিজেপি কিছু বলবে না। ওটা বিশ্বভারতী, অমর্ত্য সেন ও মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়।”
এদিকে, গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর প্রথমবার ঝাড়গ্রামে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দাবি, “ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া জেলা পরিষদ জিতেছিল বিজেপি। তবে পুলিশ দিয়ে হারানো হয়েছিল। আমি তাঁর সাক্ষী।”