কৃষ্ণকুমার দাস: তুমুল বিশৃঙ্খলার সাক্ষী রইল বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের (Assembly Session) সূচনালগ্ন। রাজ্যপালের ভাষণ অবমাননা করার অভিযোগ উঠল বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে। দুপুর ২টো নাগাদ তিনি অধিবেশন কক্ষে ঢুকে ভাষণ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে স্লোগান শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। ভাষণের কপি ছিঁড়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। বিরোধী দলনেতা নিজে স্লোগান তুললেন ‘রাজ্যপাল শেম শেম’। আর সেই স্লোগান দিতে দিতেই বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা।
বাইরে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে চলতে থাকে তাঁদের বিক্ষোভ। স্লোগান ওঠে ‘দুর্নীতিকে আড়াল করা রাজ্যপালের ভাষণ শুনছি না, শুনব না।’ মনোজ টিগ্গা, শংকর ঘোষরা সামনের সারি থেকে বিক্ষোভ করেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ভাষণের শুরুতে বলেন, ”রাজ্যপাল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল।” বিজেপি তাতেই ক্ষেপে ওঠে। আবাস যোজনা, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হন তাঁরা। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddiqui) জেলে কেন? তা সেই জবাব চেয়েও স্লোগান তোলে বিজেপি। ‘মোদি মোদি’ জয়গান শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: নতুন ফোন হারালেন কোহলি, সান্ত্বনা দিতে এ কী বার্তা জোম্যাটোর! হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]
শুধু তাইই নয়, রাজ্যপাল বক্তব্য শেষ করে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও একইরকমভাবে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যা নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে। এনিয়ে বিরোধী দলের বক্তব্য, ‘রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি’ হয়ে মিথ্যা ভাষণ যেভাবে রাজ্যপাল দিলেন, তাঁরা তারই প্রতিবাদ করলাম। রাজ্যপালকে ব্যক্তিগত অসম্মান করেননি কেউ। বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, ”রাজ্যপাল ভাষণে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশস্তি করছেন ভাষণে, তখন আমরা প্রতিবাদ করি। ভিতরে ২০ মিনিট প্রতিবাদ করি। তারপর বাইরে প্রতিবাদ।”
[আরও পড়ুন: OMG! কমলা হ্যারিসের স্বামীর ঠোঁটে চুমু বাইডেনপত্নী জিলের! ভিডিও ঘিরে হইচই]
পরে বিরোধী দলনেতা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ”রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বক্তৃতা পাঠ করা হয়। আগে অনেক রাজ্যপালকে দেখেছি অনেকে রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বক্তৃতা পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছে। রাজ্যপালকে দোষী না করে বলবো তিনি তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের পথে না হেঁটে মুখ্যমন্ত্রীর পথে হেটেছেন। ৯ নম্বর পয়েন্ট আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রকৃত চিত্র না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বক্তৃতা পড়েছেন। তাতে আমরা ও রাজ্যের মানুষ হতাশ। রাজ্যপালের কাছে আশা করেছিলাম এইগুলো স্কিপ করবেন। তা না উনি পড়েই যাচ্ছেন। ওনার ওপর নজরদারি করতে একজনকে সচিব করে পাঠিয়েছেন।” বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন বিজেপির এহেন নজিরবিহীন আচরণে ক্ষুব্ধ শাসকদল। ফিরহাদ হাকিমের প্রতিক্রিয়া, ”রাজ্যপালের সম্মানহানি করল বিজেপি। সংবিধানের অবমাননা করল বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি।”