সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহেই বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তিনটি মন্দির-সহ ৮৬টি দোকান। তার মধ্যে ৩০০ বছরের পুরনো এক শিব মন্দিরও ছিল। রাজস্থানের (Rajasthan) আলওয়ার জেলায় সরকারের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে পথে নামল বিজেপি (BJP) এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সহ বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। ‘আক্রোশ র্যালি’ নামক এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের মূল দাবি, একই জায়গায় ফের মন্দির পুনঃস্থাপন করা।
গত ২২ এপ্রিল রাজগড় শহরে বুলডোজার চালানোর ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, রাস্তা চওড়া করার জন্যই ভাঙা হয়েছিল মন্দির এবং দোকানগুলি। বুধবারের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন আলওয়ারের বিজেপি সাংসদ বালকনাথ। মিছিলে যোগ দেন প্রচুর সাধুও। বিক্ষোভের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বালকনাথ বলেছেন, রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার তোষণমূলক রাজনীতি করছে। তিনি জানিয়েছেন,”আমরা সরকারের কাছে স্মারক লিপি জমা দিয়েছি। বুলডোজার চালানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত অফিসারদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। যেখানে মন্দির ভাঙা হয়েছে, সেই জায়গাতেই ফের মন্দির গঠন করতে হবে।” এছাড়াও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পদত্যাগ দাবি করেছেন প্রতিবাদীরা।
[আরও পড়ুন: ‘পোস্টার লাগাচ্ছে বিজেপি’, জঙ্গলমহলে মাও আতঙ্ক খারিজ করলেন মুখ্যমন্ত্রী]
তবে মন্দির ভাঙার দায় নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপান উতোর শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে। আলওয়ার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সমস্ত আইনি ব্যবস্থা নিয়েই ভাঙা হয়েছে মন্দির এবং তৎসংলগ্ন এলাকার দোকানগুলি। কংগ্রেসের তরফে আরও বলা হয়েছে, রাজগড় শহরে বিজেপির নেতৃত্বাধীন প্রশাসনই বুলডোজার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজেপিকে আক্রমণ করে কংগ্রেস বলেছে, ২০১৫ সালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের আমলে প্রায় ১০০টি মন্দির ভাঙা হয়েছিল।
পালটা দিয়ে বিজেপি জানিয়েছে, কংগ্রেস বিধায়কের উপস্থিতিতে মন্দির ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মন্দির ফের প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানানো হয়েছে রাজস্থান সরকারের তরফে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কেন শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গেল প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদান? রইল সম্ভাব্য পাঁচ কারণ]