রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: একই দিনে দুই দলের দুই নবনির্বাচিত কাউন্সিলর খুনের মতো ঘটনা ঘটে গিয়েছে রাজ্যে। এই অবস্থায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে সরব বিজেপি (BJP)। সোমবার বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) বিবৃতি দাবি করেন। তা না পেয়ে এদিন তাঁরা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করলেন। বিধানসভার বাইরে তাঁরা দুই নিহত বিধায়কের ছবি-সহ পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
রবিবার পরপর দু, এক ঘণ্টার ব্যবধানেই রাজ্যের দুই প্রান্তে দুই কাউন্সিলর (Councilors) খুন হয়েছেন আততায়ীদের গুলিতে। প্রথমটি পুরুলিয়ার ঝালদায়, দ্বিতীয়টি উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে। ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন হয়েছেন, আর খড়দহে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে সুপারি কিলারের ছোঁড়া গুলিতে খুন হয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। দুটি ঘটনাতেই মূল অভিযুক্তরা পুলিশের জালে। তা সত্ত্বেও বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগের কারণেই এভাবে একদিনে জোড়া খুন (Murder) ঘটে গেল প্রকাশ্যে।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম দিবসে টুইটে শহিদদের শ্রদ্ধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, একাধিক কর্মসূচি তৃণমূল-বিজেপির]
সোমবার বিধানসভা অধিবেশন (West Bengal Assembly) চলাকালীন দুই জনপ্রতিনিধির জোড়া খুন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন বিরোধীরা। তিনি কোনও বিবৃতি দেননি। এতেই খেপে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিদেরও সুরক্ষা নেই। রাজ্যে একই দিনে দু’জন কাউন্সিলর খুন হলেন। এর প্রতিবাদে বিজেপির বিধানসভা অধিবেশন ওয়াকআউট করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। পরে এ নিয়ে তাঁরা স্পিকারের দ্বারস্থও হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলায় খোদাই করা মেট্রো স্টেশনের নাম, টুইটে উচ্ছ্বাস প্রকাশ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর]
চলতি অধিবেশনে বিজেপি বিধায়কদের হই-হট্টগোলের জেরে একাধিকবার ব্যাহত হয়েছে অধিবেশনের কাজকর্ম। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বেই বারবার বিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছে বিধানসভার লবি। তবে এবার দুই ভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধি খুনের ঘটনায় প্রতিবাদে শামিল হয়ে তাঁরা বোঝালেন, রাজনৈতিক লড়াই ভুলে যে কোনও হত্যাকাণ্ডে যথাযথ তদন্তের দাবিতে এভাবেই সরব হবেন।