রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পদত্যাগের জল্পনায় জল ঢাললেন খোদ রাজ্য বিজেপির সভাপতি (BJP State President)। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে বললেন, “পদত্যাগ করলে এই চেয়ারে বসে থাকতাম না।” পাশাপাশি, আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে এদিন ফের তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষ একাই পারবে এরাজ্যের পরিবর্তন ঘটাতে।”
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে পদত্যাগ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, “যদি পদত্যাগ করতাম তাহলে এই চেয়ারে বসে থাকতাম না। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) একাই পারবে বাংলার পরিবর্তন ঘটাতে। যারা বাড়িতে বসে আছেন, বসে থাকুন। দেখে নেবেন কী হয়। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হলে মিষ্টি খেয়ে যাবেন।” রাজ্যকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “বাংলায় ঠাকুরের উদ্ধোধন দেখা যায়, কিন্তু শিল্পের উদ্বোধন নয়।” রাজ্যপালের মন্তব্যে সায় দিয়ে তিনি বলেন, “জগদীপ ধনকড় ঠিকই বলেন। আমরা শ্বেতপত্র প্রকাশ করছি। হলদিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা দিদিমণি ও তাঁর লোকেরা টাকা নয়ছয় করেছে।” এরপরই বিজেপি সাংসদ জানান, ৫ তারিখ থেকে নতুন সদস্য সংগ্রহ শুরু হবে, তিনকোটি সদস্যপদ লক্ষমাত্রা। প্রতি বুথ থেকে ৫ জন করে ডেকে নেওয়া হবে। আত্মনির্ভর ভারতের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তাঁদের।
[আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি পরিশ্রম দ্বিগুণ, বেতন তলানিতে, রাজ্যপালের দ্বারস্থ আয়ুশ চিকিৎসকরা]
৫ আগস্ট বাংলার লকডাউন প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, “রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছি। লকডাউন সম্পর্কে পুনর্বিবেচনা করার জন্য। কারণ, ওইদিন মানুষের উৎসব। রাজ্য সরকারের ভাবা উচিত যে, রাম মন্দির আন্দোলনকে সমর্থন করে বহু কর্মী ওই বহু অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। তাই সরকারের কাছে আবারও বলছি এই ঐতিহাসিক দিনে লকডাউন করবেন না।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে বিঁধে তিনি বলেন, “যাঁরা নিজেদের ঠিক রাখতে পারছেন না, তাঁরাই এই বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। ভারতীয় জনতা পার্টিতে এসব হয় না।”
[আরও পড়ুন: ইদ উপলক্ষে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের বিবাদ, দর্শক ভরা মাঠেই চলল গুলি]
The post ‘পদত্যাগ করার হলে এই চেয়ারে বসতাম না’, জল্পনা ওড়ালেন দিলীপ ঘোষ appeared first on Sangbad Pratidin.