রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে আচমকা শনিবার সকালে রাজভবনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক ধরে একান্ত বৈঠক হয় তাঁদের। রাজ্যপালকে রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে রাজভবনে গিয়েছিলেন বলেই দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতির। দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যপালের জিরো টলারেন্স নীতি বলেই জানিয়েছেন তিনি। যদিও ঘাসফুল শিবিরের সকলেই সুকান্তর দাবি মানতে নারাজ। রাজ্য বিধানসভায় বক্তৃতা পাঠের সময় অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমা চাইতে রাজ্যপালের কাছে সুকান্ত গিয়েছিলেন বলেই পালটা দাবি তৃণমূলের।
শনিবার সকাল ১০টা ১৮ মিনিট নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তার মিনিট সাতেক পর ১০টা ২৫ মিনিট নাগাদ শুরু হয় বৈঠক। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক ধরে চলে বৈঠক। এরপর রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে সুকান্ত আলোচ্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন। রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দু’জনের কথা হয়েছে বলেই জানান। দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে কোনও আপস নয় বলেই রাজ্যপাল সুকান্তকে আশ্বাস দেন। বাংলার রাজনীতিতে হিংসা জায়গা করে নিয়েছে বলেও নাকি সুকান্তকে জানান রাজ্যপাল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা বরদাস্ত নয় বলেও সুকান্তকে সাফ জানান রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
[আরও পড়ুন: ‘আমি জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী, সেটা হয়তো জানে না!’ আমিরকে ‘বেচারা’ বলে কটাক্ষ কঙ্গনার]
রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে সিএএ প্রসঙ্গেও সুর চড়ান সুকান্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “সিএএ হবেই। তা মুখ্যমন্ত্রীও বুঝতে পেরেছেন। তাই সিএএ থেকে এনআরসিতে চলে এসেছেন।” পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজের নিজের দলের শক্তি বাড়াতে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী সকলেই। তারই মাঝে বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙন। সদ্যই দলবদল করেছেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। আবার শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবারও দাবি করেছেন দলবদলের জন্য তৃণমূলের কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। এ প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “কোনও পচা আলু নেব না। পরিষ্কার, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির হলে তিনি স্বাগত।”
সুকান্ত ও রাজ্যপালের বৈঠককে অবশ্য ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপালকে অপমান করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাতে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস এবং শুভেন্দুর মধ্যস্থতাকারী হিসাবে রাজভবনে যান সুকান্ত।