রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শোকজ-সাময়িক বরখাস্তের পরই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। জেলা কমিটি কেন তৈরি হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। আক্রমণ করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder)। নাম না করে পালটা দিলেন বিজেপি সভাপতি। বললেন, “এখন আমি সভাপতি। সবাই বিজেপির অনুগামী। পতাকার অনুগামী। কিছু করার নেই। মেনে নিতে হবে এটা।”
বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) ভরাডুবির পর থেকে বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তবে এখন নজর ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। উনিশের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল বিজেপির কাছে মোটের উপর সন্তোষজনক ছিল। ৪২ আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন দখল করেছিল বিজেপি। পরে সাংসদরা দলবদল করায় সেই সংখ্যা আরেকটু বেড়ে যায়। ২০২৪ সালের ভোটে এই সংখ্যা আরও বাড়ানোই লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের। সব দিক বিবেচনা করে আগেই জেলার সভাপতি নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি নিয়ে আলোচনা চলছিল। অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির কয়েকটি জেলা কমিটির সদস্যদের নাম।
[আরও পড়ুন: এবার শিক্ষকের ভূমিকায় মালা-ফিরহাদ-অতীন, নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শেখাবেন পুর-নিয়ম]
এই তালিকা প্রকাশ্যে আসতে না আসতেই নতুন করে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে জেলায় জেলায়। অভিযোগ, একাধিক নতুন মুখ স্থান পেয়েছে জেলা কমিটিতে। স্বাভাবিকভাবেই বাদ পড়েছে বহু পুরনো নেতা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষের খবর প্রকাশ্যে আসছে। জয়প্রকাশের ক্ষোভ প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে জেলা কমিটি প্রকাশ অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি সুকান্তকেও বিঁধেছিলেন তিনি। জেলা কমিটি ঘোষণা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা। এ বিষয়ে সুকান্ত সাফ বলেন, “জেলা কমি়টির কোনও ডেডলাইন নেই। আর সময়ে তো বদল আনতেই হবে। সেই মতোই কমিটিতে কিছু হেরফের করা হয়েছে। তাও কোভিডের জন্য আমরা পিছিয়ে গিয়েছি। এর মধ্যে কোনও বার্তা দেওয়ার কিছু নেই।”