রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: তৃণমূলের (TMC) ‘শহিদ দিবসে’র পালটা বিজেপির (BJP) ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস’। এবারের একুশে জুলাইয়ে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করল গেরুয়া শিবির। দিল্লিতে এই মুহূর্তে চলছে সংসদের বাদল অধিবেশন। অনেক সাংসদই সেখানে রয়েছেন। দিল্লিতে (Delhi)রয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষও। তাঁর নেতৃত্বে বুধবার দিল্লির রাজঘাটে পালিত হবে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস। রাজ্যেও বিভিন্ন জাগায় শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করবেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানালেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
রাজ্যে মূল বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে থেকেই ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহিদ দিবসের পালটা কোনও না কোনও কর্মসূচি পালন করে থাকে বিজেপি। গত বছর ‘শহিদ দিবস’কে কটাক্ষ করে ‘প্রহসন দিবস’ পালন করেছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। সেবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছিলেন, ”১৯৯৩ সালে বাম জমানায় গুলিতে নিহত শহিদদের স্মরণে মুখ্যমন্ত্রী শহিদ দিবস পালন করেন। কিন্তু সেই শহিদ দিবস পালনের অধিকার মুখ্যমন্ত্রী হারিয়েছেন। গণতান্ত্রিক অধিকারকে সুরক্ষিত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এক সময়ে যে আন্দোলন করেছিলেন, ক্ষমতায় এসে তাঁর রাজ্যেই গণতন্ত্র লুঠ হচ্ছে। বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তাই এই শহিদ দিবস পালন এখন স্রেফ প্রহসনে পরিণত হয়েছে। তাই পালটা কর্মসূচি প্রহসন দিবস।”
[আরও পড়ুন: শিশুদের শরীরে আঘাত হানতে পারবে না করোনার তৃতীয় ঢেউ, দাবি শহরের চিকিৎসকদের]
এ বছর আরেক নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজ্য বিজেপি। হেস্টিংসের দলীয় কার্যালয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন হবে। এখানে কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Ahidkari)। এছাড়া দিল্লির রাজঘাটে অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন দিলীপ ঘোষ। এদিন দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ”রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন। ২ মে অর্থাৎ বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে রাজ্যে বহু বিজেপি কর্মী হিংসার শিকার হয়েছেন। তৃণমূলের শহিদ দিবসে আমরাও দলের সেসব নিহত কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাব।” যদিও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তৃণমূলের তরফে এ বছরও ২১ জুলাই পালিত হবে ভারচুয়ালি। কালীঘাটের কার্যালয় থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ। দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশেও তা শোনা যাবে। আর বিজেপি পথে নেমে কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।