সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিজেপির (BJP) নিশানায় জওহরলাল নেহরু (Jawaharlal Nehru)। ১৪ আগস্ট রবিবার সারা দেশে ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস’ পালন করা হয়। সেই সূত্রে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে প্রচারে নামে গেরুয়া শিবির। যার পালটা জবাব দিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। বিতর্কের সূত্রপাত একটি ভিডিও নিয়ে। ভিডিওটিতে দেশভাগ কেন হয়েছিল, সেই সম্পর্কে নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সেখানে দেশভাগের জন্য বিশেষভাবে দায়ী করা হয়েছে নেহরুকে। ঠিক কী বলা হয়েছে ভিডিওতে?
সাত মিনিটের নাটকীয় ভিডিওটিতে দাবি করা হয়েছে, মহম্মদ আলি জিন্নার নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগের দাবির সামনে জওহরলাল নেহরু মাথা নত করেন। এর ফলেই দেশভাগ ও পাকিস্তানের সৃষ্টি। ভিডিওতে র্যাডক্লিফ লাইন প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জন র্যাডক্লিফকে। বিতর্কিত ভিডিওতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জ্ঞান না থাকা এক ব্যক্তিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে কীভাবে ভারত ভাগ করার দায়িত্ব দেওয়া হল?
[আরও পড়ুন: ৩৮ বছর ধরে ছিলেন নিখোঁজ, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সিয়াচেনে উদ্ধার জওয়ানের দেহ ]
দেশভাগ প্রসঙ্গে সরাসরি তৎকালীন কংগ্রেস নেতাদের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিভাজনকারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার দায়িত্ব ছিল যাঁদের উপরে, তাঁরা কোথায় ছিলেন চূড়ান্ত সময়ে? তবে শুধু কংগ্রেস নয়, দেশভাগের ভয়াবহতার জন্য কমিউনিস্ট পার্টিকেও দুষেছে বিজেপি। বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে, কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা মুসলিম লিগকে সমর্থন করেছিলেন এবং একটি পৃথক মুসলিম দেশের দাবিকে মেনে নিয়েছিলেন। যদিও বিজেপির যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে পালটা কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে পাক মদতে নাশকতার ছক? উত্তরপ্রদেশে পুলিশের জালে জইশ জঙ্গি]
এই বিষয়ে কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) বলেন, বিশেষ উদ্দেশ্যে ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস’ পালন করছেন মোদি। বলেন, “আধুনিক দিনের সাভারকর এবং জিন্নারা জাতিকে বিভক্ত করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।” নেহরুকে আক্রমণে পালটা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নাম টেনেছেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর প্রশ্ন, “প্রধানমন্ত্রী কি আজ জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও স্মরণ করবেন, যিনি শরৎচন্দ্র বসুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ছিলেন?” কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, “ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস গান্ধী, নেহরু, প্যাটেল এবং আরও অনেকের উত্তরাধিকার বজায় রাখবে, যাঁরা জাতিকে একত্রিত করার প্রচেষ্টায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। ঘৃণার রাজনীতি পরাজিত হবেই।”