সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদ পুরসভার নির্বাচন নিয়ে রীতিমতো হাই ভোল্টেজ প্রচার চালিয়েছিল বিজেপি (BJP)। এবার গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য কেরল (Kerala)। সামনেই কেরলের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এমাসের পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচনকেই সেমিফাইনাল হিসেবে ধরতে চাইছে তারা। সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কাছে টানতে মুসলিম (Muslim) ও খ্রিস্টানদের (Christian) প্রার্থী করার ‘কৌশল’ নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
কিছুদিন আগেই কর্ণাটকের বেলাগাভী আসনের উপনির্বাচনের আগে ‘কোনও মুসলিমকে প্রার্থী হওয়ার টিকিট দেওয়া হবে না’ বলে চিরাচরিত মন্তব্যটি করে দলকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছিলেন সেরাজ্যের বিজেপি নেতা ও মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা। তবে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবেশী রাজ্য কেরলের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের মুসলিম প্রার্থীতে কোনও আপত্তি নেই। সূত্রের খবর, অন্তত ১০০-র বেশি আসনে বিজেপি মুসলিম প্রার্থী দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ৯৫ লক্ষ পেরল দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, কমল দৈনিক সংক্রমণ]
আগামী ৮, ১০ ও ১৪ ডিসেম্বর কেরলে পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচন রয়েছে। কেরলের এই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫০০ খ্রিস্টান ও ১১৪ জন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। কেবল প্রার্থী দেওয়াই নয়, ওই প্রার্থীদের হয়ে বিজেপির যে নেতারা ময়দানে নেমেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।
আগামী ছ’মাসের মধ্যেই কেরলে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপির এই খ্রিস্টান ও মুসলিমদের কাছে টানার ‘কৌশল’ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে যেহেতু নির্বাচনে অর্ধেক আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত, তাই বিজেপিও বিপুল সংখ্যক মহিলা প্রার্থী দিচ্ছে নির্বাচনে। এপ্রসঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন জানিয়েছেন, ‘‘তিন তালাকের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচেষ্টার বিপুল প্রভাব পড়েছে কেরলের মুসলিম মহিলাদের মধ্যে। এবারের নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীদের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’