রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: CAA আইনে নাগরিকত্ব পেতে সেভাবে আবেদন জমা পড়ছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। ফর্ম পূরণেও সেরকম আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তাই CAA আইনে নাগরিকত্বের আবেদনে যাতে সাড়া মেলে সেজন্য এবার পথে নামছে গেরুয়া শিবির। সিএএ-এর পক্ষে মানুষকে বোঝাতে রাজ্যজুড়ে শিবির করবে বিজেপি। ভোট মিটলেই এই শিবির চালু হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সহযোগিতায় বিজেপি পার্টি এই সিএএ সংক্রান্ত শিবির করবে। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ লাগুর বিরোধিতায় সরব বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল।
তৃণমূলের বক্তব্য, সবাই নাগরিক, আলাদা করে নাগরিকত্বের কোনও দরকার নেই। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসে বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেছেন, ‘‘সিএএ কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ধর্মীয় বিভাজনের উপরই সিএএ করা হয়েছে।’’ রাজনৈতিক মহলও মনে করছে, দু’মাস হয়ে গেল সিএএ জারি হয়ে গিয়েছে সারা দেশে। চলতি লোকসভা ভোট শুরুর আগে গত ১১ মার্চ চালু হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব পেতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদনপত্র সেভাবে আসছেই না। সিএএ আইনে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৪জনকে নাগরিকত্ব কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: FIR মামলায় হাই কোর্টে স্বস্তি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, এখনই কোনও পদক্ষেপ নয়]
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘ভোটের পর আমরা ক্যাম্প করব গৃহমন্ত্রালয়কে নিয়ে। কীভাবে সিএএ-তে আবেদন করতে হবে, সিএএ হলে কি কি উপকার হবে সেটা বলব।’’ এদিন সুকান্ত দাবি করেন, ‘‘প্রথম পর্যায়ে মোট ৩০০জনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেও আগামীদিনে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। কারও কোনও সমস্যা হবে না।’’ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সুকান্তর দাবি, ‘‘ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি ২৭০টি আসন পেয়ে গিয়েছে। বাংলাতেও এখনও পর্যন্ত ভোট হওয়া ১৮টি আসনের মধ্যে ১২টিতে জিতবে বিজেপি। কোন আসনগুলি পাব না সেটা ভোট শেষ হলে বলে দেব।’’ এদিন সল্টলেক বিজেপি দপ্তরে সুকান্তর সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিধায়ক বিশাল লামা ও মিডিয়া সেলের ইনচার্জ তুষারকান্তি ঘোষ।