shono
Advertisement
SSC

পরেশকন্যা অঙ্কিতা, ববিতাকে হারিয়ে শিক্ষিকা হন, সুপ্রিম রায়ে চাকরিহারা সেই অনামিকাও

কী বলছেন অনামিকা?
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 07:38 PM Apr 03, 2025Updated: 07:38 PM Apr 03, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা, পরবর্তীতে ববিতাকে আইনি লড়াইয়ে হারিয়ে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। কিন্তু সুপ্রিম খাঁড়া থেকে বাঁচলেন না তিনিও। বৃহস্পতিবারের শীর্ষ আদালতের রায়ে চাকরি হারালেন তিনিও। খবর পাওয়ামাত্রই উচ্চমাধ্যমিকের খাতা দেখা বন্ধ করলেন অনামিকা। বললেন, "আবার আইনি জটে জেরবার হতে হবে হয়তো।"

Advertisement

স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি পেয়েছিলেন মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা গার্লস হাই স্কুলে। পরে অভিযোগ ওঠে অঙ্কিতা চাকরিটি পেয়েছিলেন নিয়ম বহির্ভূত ভাবে। আদালতে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি যায় অঙ্কিতার। সেটা ২০২২ সালের জুন মাস।

অঙ্কিতার চাকরি আদালতের নির্দেশেই পান ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। ২০২২ সালের ৩০ জুন চাকরির নিয়োগপত্র পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে অঙ্কিতার পাওয়া বেতনও ফেরত নেয় আদালত। সেই টাকা দেওয়া হয় ববিতাকে। ৪ জুলাই ববিতা ওই একই স্কুলে চাকরিতে যোগ দেন। বস্তুত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে সেই চাকরি হস্তান্তর থেকে শুরু হয় রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ের খোঁজ। চাকরি জীবনের শুরুটা ভালোই হয়েছিল ববিতার। অনেকেই তাঁকে প্রতিবাদের মূর্ত রূপ হিসাবে সম্মান করা শুরু করেছিলেন। এমনকী দুর্গাপুজোর উদ্বোধনেও ডাক পেয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু বছর ঘোরার আগেই আবার আসরে নেমে পড়েন অনামিকা। তিনি দাবি করেন, অঙ্কিতার যে চাকরি ববিতা পেয়েছেন, সেটা তাঁর প্রাপ্য। অনামিকা আদালতে দাবি করেন, ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোরে গোলযোগ আছে। তিনি দাবি করেন, স্নাতকস্তরে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ নম্বর পেয়েছেন ববিতা। অর্থাৎ, শতকরা হিসাবে ৫৫ শতাংশ। অথচ আবেদনপত্রে স্নাতক স্তরের প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হিসাবে লেখা রয়েছে ৬০ শতাংশ। ববিতা ৬০ শতাংশ নম্বর দেখিয়ে অ্যাকাডেমিক স্কোরে ৮ নম্বর পেয়েছেন, অথচ তাঁর পাওয়ার কথা ৬ নম্বর। ওই ভুল সংশোধন হলে চাকরি তাঁরই প্রাপ্য। আদালতে শুরু হয় নতুন মামলা। শেষ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে যোগ্য হিসাবে ওই চাকরি পান অনামিকা। আদালতের নির্দেশে জলপাইগুড়ি জেলার মনুয়াগঞ্জের হরিহর হাইস্কুলে রাষ্ট্রবিঞ্জানের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২ বছরের মাথায় চাকরি হারালেন সেই অনামিকাও। কারণ, আদালত বাতিল করেছে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল। স্বাভাবিকভাবেই সেই তালিকায় রয়েছেন অনামিকাও।

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ জানামাত্রই ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন,"উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখছিলাম। আজ চাকরি রইল না। আর খাতা দেখব না।" অনামিকা জানান, তিনি খাতা ফেরত দিয়ে দেবেন। আক্ষেপের সুরে বললেন, "আমরা যোগ্য ছিলাম। কিন্তু কমিশন সে তালিকা আদালতে দিল না। তাই আমরাও চাকরি হারালাম। এখন সবাই এক তালিকায়।" এরপর কী হবে? ফের আইনি জট নাকি আবার চাকরির পড়াশোনা, ভেবে পাচ্ছেন না অনামিকা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা, ববিতাকে আইনি লড়াইয়ে হারিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়।
  • কিন্তু সুপ্রিম খাঁড়া থেকে বাঁচলেন না তিনিও। বৃহস্পতিবারের শীর্ষ আদালতের রায়ে চাকরি হারালেন তিনিও।
  • খবর পাওয়ামাত্রই উচ্চমাধ্যমিকের খাতা দেখা বন্ধ করলেন অনামিকা। বললেন, "আবার আইনি জটে জেরবার হতে হবে হয়তো।"
Advertisement