রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার দায়ে দুই বিজেপি বিধায়ককে (BJP MLA) সাসপেন্ড হয়েছেন। প্রতিবাদে বুধবারও বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়কেরা। পরে ওয়াক আউটও করেন তাঁরা। এই আন্দোলন চলবে বলে জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুই দলীয় বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত চলবে প্রতিবাদ-আন্দোলন। তবে বাজেট অধিবেশনে অংশ নেবে বিজেপি।
শুভেন্দু অধিকারীর এহেন মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বলেন, “পরনির্ভর রাজনীতি করে বিজেপি। বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মুখে এসব কথা মানায় না।” পাশাপাশি, বিজেপির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: নারীদিবসে মহিলাদের অপমান! বিতর্কের ঝড় উঠতেই ক্ষমা চাইল Flipkart]
সাসপেন্ড হয়েছেন দুই বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সাসপেনশন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত প্রতিবাদ-আন্দোলন চলবে। শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, যতদিন না পর্যন্ত দুই বিধায়কের সাসপেনশন তোলা হবে ততদিন তাঁরা লবির মেঝেতে বসে অবস্থান করবেন।
সাসপেনশন তোলার জন্য লিখিত আবেদন করা হবে না বলেও জানান তিনি। কারণ হিসেবে বিরোধী দলনেতার ব্যাখ্যা, “আমি স্পিকারের নির্দেশেই অন রেকর্ড বলেছি। তাই আবেদন করব না। ” এদিন বাজেট পেশের দিনও প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু। বলেন, “বাজেটে ভাল বিষয় অর্থাৎ শিল্প-কর্মসংস্থানের কথা থাকতে হবে। তাহলে নিশ্চই সহযোগিতা করব। বাজেটের দিন কী করব, সেই দিনই দেখতে পাবেন।”
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপিকে পালটা দেন কুণাল ঘোষ। বলেন, “রাজ্যপালের ভাষণে বাধা দেওয়া চক্রান্ত। রাজ্যপালও সেই চক্রান্তের অংশ। আর বিজেপি তো দিল্লি নির্ভর রাজনীতি করে। কোনও পদক্ষেপ করতে দিল্লির সঙ্গে কথা বলতে হয়। মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছে।”