রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাংলা থেকে রাজ্যসভার (Rajya Sabha) নিশ্চিত আসনে পছন্দের প্রার্থীর নাম জানতে পরিষদীয় দলের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশদিল বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে নিশ্চিত আসনটিতে প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তীর নাম গেরুয়া শিবিরের চর্চায় উঠে এসেছে। কিন্তু যেহেতু বিধায়করাই ভোট দেবেন রাজ্যসভার প্রার্থীকে, তাই তাঁদের মতামত যাচাই করতে চাইছেন দিল্লির নেতৃত্ব।
শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, উপর থেকে কাউকে চাপিয়ে দিলে বিধায়কদের (MLA) মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে ‘ক্রস ভোটিং’ হয়ে প্রার্থী হেরে যেতে পারেন। এমনিতেই, গোষ্ঠীবিবাদে বঙ্গ বিজেপির পাশাপাশি পরিষদীয় দলও একাধিক শিবিরে ভাগ হয়ে আছে। তাই ক্রস ভোটিং আটকাতে আগাম ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাইয়ের চেষ্টায় নামছে বিজেপি। বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও দিল্লির তরফে পৃথকভাবেও বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কপ্টার দুর্ঘটনার ধাক্কা সামলে কেমন আছেন? প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী]
বাংলা থেকে রাজ্যসভার একটি নিশ্চিত আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বঙ্গ বিজেপিতে ইতিমধ্যেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। চলছে দিল্লিতে তদ্বিরও। তবে বিধায়কদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে চাইছে দিল্লির নেতারা। এদিকে, উত্তরবঙ্গে বিজেপির বিধায়ক বেশি। তাই দলের একাংশ আবার চাইছে উত্তরবঙ্গ থেকে কাউকে প্রার্থী করা উচিত। পুরো বিষয়টাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেখছে। দিল্লি চাইছে, নিচুতলা থেকে নাম আসুক। তারপর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে প্রার্থী করা হবে। তবে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে সুবক্তা ও ভাল ইমেজ থাকার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছে দিল্লি।
[আরও পড়ুন: দেশে কর্মসংস্থান যথেষ্ট নয়, মানলেন খোদ বিজেপি সাংসদই]
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছ’টি আসনে রাজ্যসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। পাশাপাশি আরও একটি আসনে উপনির্বাচনও হবে। ছ’টি আসনের মধ্যে একটি আসনে ৪২টি ভোট পেলেই বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। প্রথম প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পর ১৫/২০টি ভোট অতিরিক্ত হলেও দ্বিতীয় প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা খুবই কম। তবুও দ্বিতীয় প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও পরিষদীয় দলের সঙ্গে আলোচনা করবে বিজেপি নেতৃত্ব।