সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন সংখ্যা কমলেও আত্মবিশ্বাসে কোনও খামতি নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বুধবার রাজ্যসভায় ভাষণ দিতে উঠে বিরোধী শিবিরের কড়া সমালোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জানালেন, 'বিরোধীরা যতই শোরগোল করুক আরও দুদশক দেশে ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি।' নিজের ভাষণে তিনি বলেন, 'বিরোধীদের এজেন্ডাকে পরাজিত করেছে দেশবাসী। ৬ দশক পর দেশের মানুষ মোদি সরকারকে তৃতীয়বার দেশ গঠনে সুযোগ দিয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) এদিন রাজ্যসভায় ভাষণ দিতে উঠতেই প্রবল হট্টগোল শুরু করে বিরোধী শিবির। যদিও বিরোধীদের বাধাকে উপেক্ষা করে নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "জনগণের আস্থা শুধু এনডিএ-র উপর রয়েছে। এই নির্বাচন শুধু গত ১০ বছরের কৃতিত্বকে সিলমোহর নয়, ভবিষ্যতের উন্নয়নেরও এক সুযোগ। দেশের অর্থব্যবস্থা ১০ থেকে ৫ নম্বরে উঠে এসেছে।" একইসুরে বিরোধীদের তোপ দেগে তিনি বলেন, "দেশের রায়কে ব্ল্যাক আউট করার চেষ্টা চলছে।" বিরোধীদের নিশানা করেন তিনি বলেন, "আজ যারা সংবিধান হাতে নিয়ে বিরোধিতা করছে, তারাই সংবিধান দিবস পালন করতে চায়নি। এখন লড়তে না পেরে ময়দান ছেড়ে চলে যাওয়াই বিরোধীদের অস্ত্র হয়ে উঠেছে।"
[আরও পড়ুন: এফআইআরে নামই নেই ভোলে বাবার! হাথরাসের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরুর সহকারী]
এনডিএ সরকারে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "আমাদের উন্নয়নের চারটি প্রধান স্তম্ভ। কৃষক, যুবক, দরিদ্র ও নারী এরাই আমাদের উন্নয়নের শক্তি। আমরা সবকা সাথ সবকা বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করেছি।" প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, "আমি দেশের সেবক। দেশবাসীকে হিসেব দিতেই এখানে এসেছি আমি। এতদিন যা কিছু করেছি তাই প্রতিটি হিসেব দেওয়া আমার কর্তব্য বলে আমি মনে করি।" এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন প্রবল বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী শিবির। অভিযোগ তোলা হয়, বিরোধীদের বলার সুযোগ দেওয়া হয় রাজ্যসভায়। এমনই অভিযোগ তুলে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে বিরোধী শিবির।
যদিও রাজ্যসভার ভাষণে মোদির আরও দুদশক ক্ষমতায় দেশে ক্ষমতায় থাকার বার্তায় জাতীয় রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিরোধী শিবিরের দাবি, আসলে লোকসভার ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বিজেপি একক দক্ষতায় ক্ষমতায় আসতে পারেনি মানুষ বিজেপিকে খারিজ করেছে সঙ্গীদের সাহায্য নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর এখন নিজের পরাজয়কে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন গলার আওয়াজে। তৃতীয় মোদি সরকারই স্থায়ী সরকার নয়, যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে এই সরকার। দুদশকতো বহু দূরের কথা।