দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: সিঙ্গুরে (Howrah) বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। সোমবার রাত পর্যন্ত মঞ্চ বাঁধার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে মঙ্গলবার সকালে অবশেষে অনুমতি মিলেছে বলেই দাবি বিজেপির। তবে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি পুলিশ। এদিকে অবস্থান বিক্ষোভে দিলীপ-শুভেন্দু থাকলেও যাবেন না সাংসদ লকেট। যা স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছে জল্পনা।
এবার নতুন করে বাংলায় নিজেদের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করতে সিঙ্গুরকে বেছে নিয়েছে বিজেপি (BJP)। দলের তরফে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। আগেই ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ করার কথা ঘোষণা করেছিল বিজেপি। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হলেও পুলিশের অনুমতি মিলছিল না বলেই জানা গিয়েছিল। মঞ্চ বাধতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। যে এলাকায় কর্মসূচির জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেটা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অধীন। ফলে তাঁরা অনুমতি দিলেই পুলিশ তাতে সিলমোহর দেবে বলে জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া চিঠি পুলিশকে দেয় বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মঙ্গলবার অবশেষে শর্তসাপেক্ষে মঞ্চ বাধার অনুমতি মিলেছে। যদিও বিষয়ে পুলিশ কোনও মন্তব্য করায় জারি ধোঁয়াশা। তবে দিলীপ ঘোষ আগেই জানিয়েছিলেন, কর্মসূচি হবেই। বাধা দিলে অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: লিলুয়ায় মোমবাতির কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, আগুন আয়ত্তে আনতে নাজেহাল দমকল]
এদিন এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhiakri), মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক প্রথম সারির নেতার। প্রথমদিকে এই কর্মসূচিতে স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা জানা গেলেও পরবর্তীতে জানা গিয়েছে, তিনি থাকবেন না। নিজের এলাকায় দলের কর্মসূচিতে সাংসদের অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদদের এক প্রতিনিধি দল দিল্লি গিয়েছিলেন। সেই সফরে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করে গোটা পরিস্থিতির খুঁটিনাটি তুলে ধরেন। সেই দলে থাকার কথা থাকলেও সেবার গরহাজির ছিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তা নিয়ে গুঞ্জনও শুরু হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে একা মোদির সঙ্গে দেখা করেন লকেট। এবারও দলের কর্মসূচিতে থাকছেন না তিনি।