সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ভরাডুবি বিজেপির। গতবারের তুলনায় কমেছে প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা। হেরেছেন দিলীপ ঘোষের মতো তাবড় প্রার্থী। কী কারণে এমন ভরাডুবি গেরুয়া শিবিরের? হারের কারণের খোঁজে ময়নাতদন্তে শুক্রবারই দিল্লিতে বৈঠক। তার আগে বেসুরো বাংলার আরেক জয়ী বিজেপি প্রার্থী। এবার দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রানাঘাটের জয়ী প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।
লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দলবদল করেন মুকুটমণি অধিকারী। তাঁকেই রানাঘাটে টিকিট দেয় তৃণমূল। বাংলায় সবুজ ঝড়ের মাঝেও 'দলবদলু' মুকুটমণি জিততে পারেননি। সেখানে অব্যাহত গেরুয়া শিবিরের ক্যারিশ্মা। বিপুল ভোটে জয়ী বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। ভোটে জয়ের পর বৃহস্পতিবার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে রানাঘাটের জয়ী প্রার্থী বাংলায় দলের ভরাডুবি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। দিলীপ ঘোষের লোকসভা কেন্দ্র বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
জগন্নাথবাবুর মতে, "দিলীপ ঘোষের আসন পরিবর্তন করা ঠিক হয়নি। হঠাৎ করে কোনও প্রার্থীর আসন বদল করা ঠিক নয়।" এখনও যে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে, সেকথাও মেনে নেন জগন্নাথ সরকার। তাঁর স্বীকারোক্তি, "কয়েকটি এলাকায় আমরা এখনও শক্তিশালী নই। কাউকে দোষারোপ করব না, মতামত দিতে পারি।"
[আরও পড়ুন: এবার EMI-তে ঘুষ দিন! আজব কাণ্ডে চক্ষু চড়কগাছ দুর্নীতি দমন শাখার]
বলে রাখা ভালো, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ১৮টি আসন পেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। অথচ সেই দিলীপ ঘোষই কিনা চব্বিশে পরাজিত তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে। দিলীপ ঘোষের মতো এহেন লড়াকু সংগঠকের হারের কারণ নিয়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে চলছে জোর চাপানউতোর। সরাসরি কিছু না বললেও, 'দলীয় অন্তর্ঘাত'কেই খানিকটা দায়ী করেছেন খোদ দিলীপ ঘোষ।
কারণ, ভোটের আগে শোনা গিয়েছিল, দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুরের টিকিট দেওয়া নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি ছিল সুকান্ত-শুভেন্দুদের। বার বার দিল্লিতে নাকি তা নিয়ে তদ্বিরও করেছিলেন দুজনে। সে কারণেই নাকি লোকসভা কেন্দ্র বদল হয় দিলীপ ঘোষের। আর তার ফলাফল বিপর্যয়। দিলীপ ঘোষের লোকসভা কেন্দ্র বদলের সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে এর আগে প্রশ্ন তোলেন বিষ্ণুপুরের জয়ী বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ-ও।