সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেলেঙ্গানায় (Telangana) উপনির্বাচনের আর সপ্তাহখানেক বাকি। এই সময় এক নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজ্য। সেখানকার দুব্বাক্ক অঞ্চলের সিদ্দিপেটে পুলিশের কাছ থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি (BJP) কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দুব্বাকের বিজেপি প্রার্থী এম রঘুনন্দন রাওয়ের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ১৮ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, এরপরই পুলিশকর্মীদের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় বিজেপি সমর্থকরা।
বিজেপি কর্মীদের পালটা অভিযোগ, পুলিশই ব্যাগে করে টাকা এনে ওখানে রাখার চেষ্টা করেছিল। যে ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ তাঁর নাম সুরভি অঞ্জন রাও। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার করা টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয় গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। সিদ্দিপেটের পুলিশ কমিশনার জোয়েল ডেভিস জানিয়েছেন, বাকি ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা আটক করেছেন সিদ্দিপেটের এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।
[আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে ৯ ঘণ্টার জেরাতেও অবিচল ছিলেন মোদি! জানালেন তদন্তকারী আধিকারিক]
তল্লাশির স্থানে পৌঁছলে তেলেঙ্গানার বিজেপি প্রধান বান্দি সঞ্জয় কুমারকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার জানাচ্ছেন, সোমবার সুরভি অঞ্জন রাওয়ের বাড়ি থেকে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করার পর তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় ওই টাকার উৎস কী। তখনই সুরভি বলেন, তাঁর কাছে ওই টাকা পাঠিয়েছেন তাঁর শ্যালক জিতেন্দর রাও। গাড়ির ড্রাইভারের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, ওই টাকা নির্বাচনী প্রচারে খরচ করার জন্য। তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। তার মধ্যে সিদ্দিপেটের পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়িও ছিল।
এদিকে বিজেপি রঘুনন্দন রাও এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে নির্বাচনী প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।আমার গাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে কুড়ি বার। এমনকী, আমার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। আমি ওই সব তল্লাসির সময়ে আধিকারিকদের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। কিন্তু যখন আমি তাঁদের কাছ থেকে তল্লাশির আইনি নোটিশটি দেখাতে বলি, তখনই তাঁরা আমাকে হুমকি দিতে থাকেন।’’ কোনও আইনি কাগজপত্র ছাড়াই তাঁর বাড়ি ও গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।