নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সিউড়ির (Suri) কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে। আতঙ্কিত ব্যাংক ম্যানেজার থেকে কর্মী, গ্রাহকরা। বিজেপির দাবি একটাই, এই ব্যাংকের ১৭৭ টি বেআইনি অ্যাকাউন্ট কী করে এল, তা বিস্তারিত জানতে ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হোক। সোমবার ব্যাংকের কাজ শুরু হওয়ার পরপরই বিজেপি নেতা, কর্মীরা ব্যাংকে ঢুকে অবস্থান শুরু করেন বলে অভিযোগ। শিকেয় ওঠে ব্যাংকের কাজকর্ম। বিষয়টি নিয়ে সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিন ব্যাংকের কাজে স্বাভাবিকভাবেই চাপ ছিল বেশি। দুপুর ১টা নাগাদ আচমকাই বিশৃঙ্খলা শুরু হয় সিউড়ির লালকুঠির কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে (Co-operative Bank)। ব্যাংক খোলার পরপরই বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন বিজেপির একদল কর্মী-সমর্থক। কিন্তু এবার তাঁরা ব্যাংকের ভিতরে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। নিরাপত্তারক্ষীরাও আটকাতে পারেননি। বিজেপির পতাকা হাতে ছিল সকলের। ম্যানেজারকে গ্রেপ্তারির দাবিতে স্লোগান তোলেন। ব্যাংক কর্মীরা বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বাঁধে।
[আরও পড়ুন: গণশক্তিতে মোদির মুখ, রেলের বিজ্ঞাপনের মোড়কে বাম মুখপত্রে বিজেপির প্রচার!]
ব্যাংকের হিসাবরক্ষক পরিমল দাস জানান, ”কাজ শুরু হওয়ার পর কিছুক্ষণ পরই দেখা যায়, বিজেপির পতাকা নিয়ে একদল লোকজন ঢুকে পড়ল। চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করে আমাকে। আমি ওই অবস্থায় কোনওক্রমে ক্যাশ বাক্স সামলে নিরাপদ জায়গায় রাখি। তারপর কর্মীরা বাধা দিলে ওদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়।” সিউড়ি বিজেপির নগর মণ্ডলের সভাপতি সুনয়ন ভাণ্ডারির নেতৃত্বে কর্মী, সমর্থকরা চড়াও হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে সুনয়নবাবুর অভিযোগ, তাঁরা ম্যানেজারের গ্রেপ্তারির দাবিতে ব্যাংকে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের স্মারকলিপি গ্রহণ করতে নারাজ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: দাম্পত্য কলহের জের! স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট কর্নেল]
আসলে সিউড়ি সমবায় ব্যাংকে সম্প্রতি সিবিআই (CBI) হানা দিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গরু ও বালি পাচার মামলায় তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের এই অভিযান। আর তাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে তাদের। মৃতদের নামেও অ্যাকাউন্ট এবং সেসব ‘অ্যাকটিভ’। তার সংখ্যা ১৭৭। দুই ম্যানেজার অভিজিৎ সামন্ত ও ইন্দ্র বাহাদুরকে কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এরপরই বিজেপি ম্যানেজারদের গ্রেপ্তারির দাবিতে এদিন কার্যত ‘তাণ্ডব’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ।