সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিগেড পর্বের পর ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chaudhary) বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা উসকে দিলেন দিলীপ ঘোষ। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলে দিলেন, অধীরের মতো নেতাকে যেভাবে বারবার অসম্মান করা হচ্ছে, তাতে ওঁর কংগ্রেস ছাড়ার কথা ভাবা উচিত। ওঁদের মতো নেতার জায়গার অভাব হয় না। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগেও একবার অধীরকে নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু সেসময় সব জল্পনাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি।
গত রবিবার বামেদের ডাকা ব্রিগেডে বক্তব্য রাখার সময় অধীর চৌধুরীকে রীতিমতো ‘অপমানিত’ হতে হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ভাষণের ঠিক মাঝপথে ব্রিগেডের মঞ্চে হাজির হন আইএসএফ (ISF) নেতা আব্বাস সিদ্দিকি।দর্শকদের মধ্যে থেকে হাঙ্গামা শুরু করেন ‘ভাইজান’ সমর্থকরা। আইএসএফ সমর্থকদের গগনভেদী চিৎকারে বক্তব্য থামাতে হয় অধীরকে। বিরক্ত হয়ে বক্তৃতা মাঝপথে থামিয়ে দিতে চান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। শেষপর্যন্ত অবশ্য সেলিম-বিমানদের কথায় বক্তৃতা শেষ করেন অধীর। কিন্তু এরপর আব্বাস আবার নিজের বক্তৃতার সময় আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেন। সূত্রের খবর, আব্বাসের (Abbas Siddiqui) এই আচরণে ক্ষুব্ধ হন অধীর। শুরু থেকেই আইএসএফের সঙ্গে জোটে নিমরাজি ছিলেন অধীর। কিন্তু হাই কম্যান্ডের চাপে তিনি একপ্রকার বাধ্য হয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট বাঁধতে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিজেদের ভাগের আসন ছাড়তে হয়েছে। তার উপর আবার আনন্দ শর্মা (Anand Sharma), সন্দীপ দীক্ষিতের মতো নেতারা অধীরকে নিশানা করেছেন। সূত্রের খবর, এই পুরো পর্বে অধীর অত্যন্ত বিরক্ত।
[আরও পড়ুন: ISF-এর সঙ্গে জোট কেন? কৈফিয়ত চেয়ে অধীরের রোষের মুখে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা]
সম্ভবত, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই বিরক্তির সুযোগ নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে একপ্রকার ঘুরিয়ে দলে আহ্বান করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অধীর প্রসঙ্গে দিলীপ বললেন,”উনি কংগ্রেসের সম্মানীয় নেতা। দু’বার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন। একবার করা হয়েছিল। পরে আবার প্রদেশ সভাপতি করা হয়। যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় উনি অসম্মানিত হচ্ছেন তাতে উনি কংগ্রেস ছাড়ার কথা ভাবতেই পারেন। ওঁর মতো নেতা অন্য দলে আসতে চাইলে জায়গার অভাব হবে না।”