সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজয় রূপানি (Vijay Rupani) মুখ্যমন্ত্রী থাকলে গুজরাটে জয় সহজ হবে না। আরএসএসের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষার পরই নাকি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। এমনটাই দাবি করলেন সেরাজ্যের তরুণ কংগ্রেস নেতা তথা গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel)।
রবিবার এক টুইটে তরুণ কংগ্রেস নেতা দাবি করেছেন, সম্প্রতি আরএসএস (RSS) গুজরাট নিয়ে নিজেদের মতো একটি সমীক্ষা করেছে। আরএসএসের সেই গোপন সমীক্ষার ফলাফল রীতিমতো চমকপ্রদ। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, গুজরাটে কংগ্রেস পেতে পারে ৪৩ শতাংশ ভোট। কংগ্রেসের আসন সংখ্যা হতে পারে ৯৬ থেকে ১০০টির মধ্যে। বিজেপি (BJP) পেতে পারে মাত্র ৩৮ শতাংশ ভোট। তাতে গেরুয়া শিবিরের দখলে যেতে পারে ৮০ থেকে ৮৪টি আসন। আম আদমি পার্টি পেতে পারে ৩ শতাংশ ভোট। তাদের দখলে কোনও আসন যাবে না। AIMAIM-ও সেরাজ্যে কোনও আসন জিতবে না। তাঁদের ভাগ্যে যেতে পারে ১ শতাংশ ভোট। বাকি ১৫ শতাংশ ভোট যেতে পারে নির্দলদের দখলে। তারা পেতে পারে ৪টি আসন। হার্দিক প্যাটেলের দাবি, আরএসএসের এই সমীক্ষার ফলাফল দেখেই বিজয় রূপানিকে সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের বিজ্ঞাপনে কলকাতার উড়ালপুলের ছবি, যোগীকে তুলোধোনা তৃণমূলের]
হার্দিকের এই দাবির সত্যাসত্য যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে, রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন বিজয় রূপানিকে সরানোর নেপথ্যে ভোট রাজনীতিই কাজ করছে। প্রথমত, রূপানি জৈন সম্প্রদায়ের নেতা। গুজরাটে (Gujarat) অন্য জনজাতির তুলনায় জৈনদের সংখ্যা কম। তাছাড়া সাংগঠনিক নেতা হলেও সেভাবে কোনওদিনই জননেতা হয়ে উঠতে পারেননি রূপানি। সম্ভবত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রভাবশালী কোনও জনগোষ্ঠীর নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে গেরুয়া শিবির। এছাড়াও এমন নেতাকে আনা হতে পারে, যার ব্যক্তিগত ক্যারিশমা রয়েছে। তাছাড়া করোনাকালে রূপানি সরকারের পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া গুজরাটে টানা ৫ বার ক্ষমতায় বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া কাজ করছে। সব মিলিয়ে গুজরাটে বিজেপি বেশ ব্যাকফুটেই।
[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: অভিষেকের সফরেই ত্রিপুরায় স্টিয়ারিং কমিটি গড়তে চায় তৃণমূল, বিশেষ নজর মহিলা ভোটে]
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহর নিজের রাজ্য গুজরাট বিজেপির জন্য প্রেস্টিজ ফাইট। আর সেই প্রেস্টিজ ফাইটে কোনওভাবেই ‘দুর্বল’ কোনও নেতাকে সামনে রেখে এগোতে চাইছিল না বিজেপি। সম্ভবত সেকারণেই সরানো হল ‘ইয়েস ম্যান’ রূপানিকে।