রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রতি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটারদের ‘ধন্যবাদজ্ঞাপন’ কর্মসূচি নিতে হবে দলের প্রার্থীদের। যাঁরা জিতেছেন তাঁরা তো বটেই, পরাজিত হওয়া বিজেপি প্রার্থীদেরও সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রে যেতে হবে ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই নির্দেশে মহা ফাঁপরে বঙ্গ বিজেপি। কারণ, হেরো প্রার্থীরা আদৌ যাবেন কি না তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
এবার লোকসভা ভোটে বাংলায় ৪২টি আসনের মধ্যে ১২টি আসনে জিতেছে বিজেপি। পরাজিত প্রার্থীদের সংখ্যা ৩০। এই ৩০ জন পরাজিত প্রার্থীকেও লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে যেতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। মঙ্গলবার সল্টলেক বিজেপি দপ্তরে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল। সূত্রের খবর, সেখানেই বনসল নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে সেখানকার বিজেপি প্রার্থীদের। জয়ী প্রার্থীরা তো ভোটারদের ধন্যবাদ জানাবেনই, সেই সঙ্গে পরাজিত প্রার্থীদেরও এই কর্মসূচি করতে হবে। কারণ, হারা আসনেও বড় অংশের ভোটার বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু হারা আসনে পরাজিত প্রার্থীদের দিয়ে আদৌ এই কর্মসূচি কতটা করা সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই।
[আরও পড়ুন: মমতার বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে পোস্ট করে মুছে দিল রাজভবন, তুঙ্গে বিতর্ক]
প্রসঙ্গত, তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এলেও সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা ভোটে সারা দেশে প্রত্যাশিত ফল হয়নি বিজেপির। তাই ভোট শেষ হওয়ার পর ফের জনসংযোগে জোর দিচ্ছে পদ্মশিবির। দেশজুড়ে ভোটার অভিনন্দন যাত্রা শুরু করছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনার জন্য ভোটারদের ধন্যবাদজ্ঞাপন করবেন বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। এই ভোটার অভিনন্দন যাত্রা কর্মসূচির ইনচার্জ রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল। ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সমস্ত রাজ্যের সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রেই এই কর্মসূচি চলবে। কিন্তু বাংলায় হারা আসনগুলিতে পরাজিত প্রার্থীরা কতটা এই কর্মসূচিতে শামিল হবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই। এবার লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে বাংলায় ‘অবাক করে দেওয়ার মতো’ ফলাফল হওয়ার কথা বড় মুখ করে বলেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিরিশ আসনের জন্য বঙ্গ বিজেপিকে টার্গেট দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।