সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে ‘ব্যর্থ’ হয়ে এবার পাঞ্জাব (Punjab) দখলে মরিয়া বিজেপি (BJP)! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন আম আদমি পার্টির (AAP) বিধায়ক ও অর্থমন্ত্রী হরপাল চিমা। তাঁর অভিযোগ, আপ বিধায়কদের দলবদলের জন্য মাথাপিছু ২৫ কোটি টাকার ‘অফার’ দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এমন দাবিকে অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছে বিজেপি। সেই সঙ্গে পালটা দাবি করেছে, পাঞ্জাবে আপ নেতৃত্বে ফাটল ধরেছে।
চিমার দাবি, বিজেপির তরফে তাঁদের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দিল্লি গিয়ে বড় নেতাদের সঙ্গে দেখা করার। এবং দলবদলের ‘মূল্য’ হিসেবে মাথাপিছু ২৫ কোটি করে দেওয়ার ‘টোপ’ও দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানানোর সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ”দলবদল করার জন্য বিধায়কদের প্রত্যেককে ২৫ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিজেপির ‘অপারেশন লোটাস’ কর্ণাটকে সফল হতে পারে। কিন্তু দিল্লির বিধায়করা দৃঢ়চেতা হওয়ায় সেখানে ওদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: Corona Update: পুজোর মরশুমে ফের ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ, পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের বেশি]
চিমা জানাচ্ছেন, এমন প্রস্তাব দিয়ে তাঁদের এও বলা হয়েছে, পাঞ্জাবে রাজনৈতিক ক্ষমতার বদল হলেই দলবদলুদের জন্য থাকবে উঁচু পদ। একবার নয়, এই ধরনের প্রস্তাব একাধিক বার তিনি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাঞ্জাবের আপ বিধায়ক। সব মিলিয়ে কতজন বিধায়ককে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে? চিমার দাবি, ”৭ থেকে ১০ জন বিধায়ককে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সরাসরি কিংবা পরোক্ষ ভাবে। সময়মতো সব প্রমাণ দেব।”
প্রসঙ্গত, গত মাসেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল অভিযোগ করেছিল, বিজেপি দিল্লিতেও ‘অপারেশন লোটাস’ অভিযান চালাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে ২০-২৫ কোটি টাকার প্রলোভন দেখাচ্ছে আপ বিধায়কদের। কেজরিওয়ালের দাবি ছিল, ‘দিল্লি সরকারকে ফেলতে ওরা ৮০০ কোটি রেখে দিয়েছে। বিধায়ক পিছু ২০ কোটি দিয়ে ৪০ জন বিধায়ককে ছিনিয়ে নিতে চায়। দেশ জানতে চায় এই ৮০০ কোটি টাকা কার, এটা কোথায় রাখা হয়েছে?” সেই বিতর্কের রেশ মিটতেই এবার অভিযোগ পাঞ্জাবের আপ বিধায়কের।
[আরও পড়ুন: জামিন পেয়েও মিলল না মুক্তি, আপাতত জেলেই সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান]
উল্লেখ্য, পাঞ্জাবে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা মাত্র ২। এই পরিস্থিতিতে সত্য়িই কি তারা ঘোড়া কেনাবেচা করে সরকার গড়তে চাইছে? গেরুয়া শিবির অবশ্য এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে। পাঞ্জাবের বিজেপি সম্পাদক সুভাষ শর্মা বলছেন, ”বিজেপির বিরুদ্ধে হরপাল চিমার এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে স্পষ্ট, পাঞ্জাবের আপ নেতৃত্বে ফাটল ধরেছে। কেজরিওয়ালের হস্তক্ষেপে দলটি ছিন্নভিন্ন হওয়ার পথে।”