সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনায় এবার আসরে নামলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলির কথা তুলে তুলোধোনা করলেন মনমোহন সিং। জানালেন, মোদি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার একটাও পরিপূর্ণ করতে পারেননি। তা সে নোটবন্দি হোক বা কালো টাকা। সবেতেই ডাহা ফেল মোদি।
সরকারকে এনিয়ে একহাত নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, দেশের যুব সম্প্রদায় অধীর আগ্রহে দু’কোটি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু গত চার বছরে কর্মসংস্থান তো বাড়েইনি। উলটে কমেছে। মোদি সরকার যে দেশের বেকারত্ব ঘোচানোর দায়ি্ত্ব নিয়েছিল, তাতে তিনি অকৃতকার্য। মানুষ এতে একেবারেই সম্তুষ্ট নয়। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে একথা জানান তিনি।
[ ‘উর্দিকে মিস করব’, দায়িত্ব থেকে সরানোর পর আবেগতাড়িত এসপি বেদ ]
তবে মোদি সরকারের সমালোচনা এখানেই শেষ করেননি তিনি। বলেছেন, মেক ইন ইন্ডিয়া ও স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়ার এখনও কোনও পরিপূর্ণ ফলাফল নেই। এখনও ছোট ও মাঝারি শিল্প এখনও সেভাবে লাভের মুখ দেখতে পায় না। এর জন্য জিএসটি আর নোটবন্দিকে সম্পূর্ণভাবে দায়ী করেছেন মনমোহন সিং। তাঁর মতে, জিএসটি আর নোটবন্দি তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত করতে গিয়ে সব মাটি করে দিয়েছেন মোদি।
এমনিতেই নোটবন্দি ও জিএসটি নিয়ে অনেক সমালোচনার মধ্যে ইতিমধ্যে পড়েছে মোদি সরকার। কিছুদিন আগেই এনিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, “নোট বাতিলের ফলে কালো টাকা, জাল টাকা উদ্ধার হয়নি আগেই প্রমাণিত হয়েছে আরবিআইয়ের রিপোর্টে, তাহলে নোট বাতিলের উদ্দেশ্য কী ছিল? আসলে মোদিজি নোট বাতিলের মাধ্যমে তাঁর ১৫ জন শিল্পপতি বন্ধুর উপকার করতে চেয়েছিলেন। অমিত শাহ যে ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত সেই ব্যাংক নোটবন্দির সময় ৭০০ কোটি টাকা বদলে দিয়েছে, নোটবন্দির আগে দেশের প্রতিটি জেলায় বিজেপির পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে নোট বাতিলের আসল উদ্দেশ্য কি ছিল।”
[ ‘বুলি নয়, পাকিস্তানকে জবাব দিতে হবে গুলিতে’ ]
নয়াদিল্লিতে তিন মূর্তি ভবনে এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে মনমোহন সিং ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পি চিদম্বরম, সীতারাম ইয়েচুরি, চন্দন মিত্র ও শরদ যাদব।
The post ‘নোটবন্দি থেকে কালো টাকা, সবেতেই ফেল মোদি’ appeared first on Sangbad Pratidin.