সুব্রত বিশ্বাস: ছত্তিশগড়ের রায়পুরে (Raipur) আধা সামরিক বাহিনীর ট্রেনে বিস্ফোরণ। আহত ছয় জওয়ান। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিস্ফোরণের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে লাগাতার তিনদিন বাড়ল জ্বালানি মূল্য, কলকাতায় পেট্রল ১০৬ টাকারও বেশি]
সূত্রের খবর, শনিবার সকাল ৬.৩০ নাগাদ রায়পুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা সিআরপিএফয়ের একটি বিশেষ ট্রেনে আচমকা প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। সিআরপিএফয়ের তিন কোম্পানি জওয়ান নিয়ে ট্রেনটি ওড়িশার ঝাড়সুগরা থেকে জম্মু যাচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ট্রেনটিতে বাহিনীর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক ছিল। একটি কামরা থেকে আরও একটি কামরায় নিয়ে যাওয়ার সময় শৌচালয়ের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। মনে করা হচ্ছে, টানাহ্যাঁচড়ার সময় ডেটোনেটর ফেটেই বিপত্তি হয়।
জানা গিয়েছে, বিশেষ ট্রেনে সিআরপিএফয়ের ২১১ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সফর করছিলেন। মালপত্র স্থানান্তরের সময় এক জওয়ানের হাত থেকে ‘ইগনাইটর সেট’ ও ‘এস ডি কার্তুজ’-এর একটি বাক্স পড়ে যায়। আর তারফলেই ঘটে বিস্ফোরণ। ওই বিশেষ ধরনের বিস্ফোরক কার্তুজ ও ডেটোনেটর গু;লি রাইফেল ঠেলে গ্রেনেড ছোঁড়ার সময় ব্যবহার করা হয়। আহত জওয়ানদের নাম হচ্ছে, চবন বিকাশ লক্ষণ, রমেশ লাল, রবীন্দ্র কর, সুশীল, দিনেশ কুমার পেকরা। বিস্ফোরণের জেরে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকার পর অবশেষে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।
[আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ, প্রধানমন্ত্রী মোদির হাত ধরে দেশ পাচ্ছে সাতটি নয়া সংস্থা]
এদিকে, এই ঘটনায় চঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্টেশন চত্বরে। প্রশ্ন উঠছে বিস্ফোরণ নিয়ে যাওয়ার পদ্ধতি নিয়েও। সেনাবাহিনীতে ব্যবহার হওয়া এই দেটোনেটরগুলি অত্যন্ত শক্তিশালী। এহেন জনবহুল স্টেশনে ভিড়ের মাঝে বিস্ফোরণ হলে পরিণাম ভয়াবহ হতে পারত বলেই মনে করছেন অনেকে। তাছাড়া, শৌচালয়ের পাশে না হয়ে যদি কামরার মধ্যে বিস্ফোরণ হত তাহলেও পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে উঠত বলেই ধারণা প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের।