সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ (Bangladesh)। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। আহত পাঁচ।
[আরও পড়ুন: মসজিদ নির্মাণ নিয়ে বিরোধ, সিলেট সীমান্তে বিএসএফকে বাঙ্কার সরানোর আরজি বাংলাদেশের]
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের বোরহানউদ্দিনের বাড়িতে হাজির হয় কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি। তার কিছুক্ষণ পর বাড়ির মধ্যে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বোরহানউদ্দিনের ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়। এ ঘটনায় নয়াপাড়া গ্রামের কাশেম আলির ছেলে তথা বাড়ির মালিক বোরহানউদ্দিন প্রধান (৩৬), একই গ্রামের কবীর মিয়াঁর ছেলে অহেদুল ইসলাম (৩৫) ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিড়াডাঙ্গা গ্রামের তৈয়ব আলির ছেলে রানা মিয়াঁ (২৯) নিহত হন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বগুড়ার শিবগঞ্জের এক ব্যক্তিকে।
উল্লেখ্য, আগামিকাল অর্থাৎ ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমতো চিন্তিত হাসিনা প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, ঘটনাস্থলে বম্ব স্কোয়াড ও ফরেনসিক দল তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এমনিতে বাংলাদেশে জামাত-উল-মুজাহিদিন থেকে শুরু করে ইসলামিক স্টেট পর্যন্ত একাধিক ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয়। দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় আইইডি বা দেশীয় বোমা বানানোর কারখানা চলছে। সব মিলিয়ে এই বিস্ফোরণ বড়সড় নাশকতার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক সদস্যকে। তরুণদের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি দলে নাম লেখানোই ছিল ধৃতের কাজ।তবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী। যার ফলে অনেকটাই কোণঠাসা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। কিন্তু তবুও একেবারে শক্তিহীন হয়ে পড়েনি তারা। দেশকে রক্তাক্ত করতে ক্রমাগত পরিকল্পনা করে যাচ্ছে জেহাদি সংগঠনগুলি।