সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) রামপুরে (Rampur) ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। ভোরের আজান দেওয়ার জন্য মসজিদের ভিতরেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে ৬২ বছর বয়সি মৌলবীকে খুন করল এক ব্যক্তি। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যে পুলিশের জালে অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাঘির নামে মসজিদের ওই মৌলবী পাঞ্জাবের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই রামপুরের আজিমনগর পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত নাগালিয়া আকিল গ্রামের ইমাম পদে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। কিন্তু জালিস নামে স্থানীয় এক মুসলিম ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ওই মসজিদে আজান দেওয়ার দায়িত্ব পেতে চাইছিলেন। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিবাদও বর্তমান ছিল। এরপর বৃহস্পতিবারই ওই কাণ্ড ঘটায় জালিস।
[আরও পড়ুন: সীমান্তে স্থায়ী সমাধানই লক্ষ্য? ফোনে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ জয়শংকরের]
জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় মসজিদে ঢুকে আচমকাই ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়ে সাঘির গলার নলি কেটে দেয় জালিস। সেসময় ওই মৌলবীকে মসজিদে উপস্থিত একজন বাঁচাতে যান। কিন্তু জালিস তাঁর উপরও আক্রমণ করে। ফলে ওই ব্যক্তিও গুরুতরভাবে আহত হন। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এই ঘটনা প্রসঙ্গে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, “আজান দেওয়া নিয়ে ওই দু’জনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা ছিল। ঘটনার দিন অভিযুক্ত মসজিদে ঢুকে মৌলবীর উপর হামলা চালায়। এরপর মৌলবী ঘটনাস্থলেই মারা যায়।” এদিকে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুরু হয় তদন্ত। খবরটি সামনে আসতে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যও ছড়ায়। অনেকেই দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন। এরপরই পলাতক অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালালোর পরই জালিসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০২ এবং ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।