অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: দম্পতির রহস্যমৃত্যু। ফ্ল্যাট থেকে জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার (Howrah) চ্যাটার্জীহাটে। ইতিমধ্যেই দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের কারণেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী।
মৃত ব্যক্তির নাম গৌতম মাইতি। বয়স ৪৫ বছর। স্ত্রী চৈতালী ও দুই মেয়ে মৌরুশী-আরুশিকে নিয়ে হাওড়ার চ্যাটার্জীহাটে নন্দলাল মুখার্জী লেনের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন একটি বারে ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে মৌরুশি ও আরুশি গিয়েছিল আঁকার ক্লাসে। সেখান থেকে ফিরে দেখে ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ। বাবা-মাকে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও কোনও লাভ হয়নি। এরপরই সন্দেহ হয় দুই নাবালিকার। তখনই তারা খবর দেয় থানায়। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মতুয়া ইস্যুতে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়তেই সুব্রত-শান্তনুকে তৃণমূলে ডাক মমতা ঠাকুরের]
জানা গিয়েছে, সারা শব্দ না পাওয়ায় দরজা ভাঙে পুলিশ। দেখা যায়, ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছেন গৌতম। মেঝেয় পড়ে রয়েছে স্ত্রী চৈতালীর দেহ। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছে দম্পতির দুই সন্তান। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, স্ত্রীকে খুন করার পর আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
কিন্তু কী কারণে খুন? দম্পতির দুই সন্তান মারফত জানা গিয়েছে, চৈতালীদেবী ব্যস্ত থাকতেন ফেসবুকে। তা মোটেও পছন্দ ছিল না স্বামীর। তা নিয়ে নিত্য অশান্তি চলত দম্পতির মধ্যে। সেই ঝামেলা চরমে ওঠার কারণেই হয়তো এই পরিণতি। যদিও সেই কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রহস্যভেদ করতে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।