অর্ণব আইচ: রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার ভবানীপুরে। ভাইয়ের দেহ আগলে বসে রইল দিদি। দুর্গন্ধ পেয়ে থানায় খবর দেওয়া হলে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে মৃতের দিদিকে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বেশ কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
জানা গিয়েছে, ভবানীপুর থানার মাধব চ্যাটার্জী লেনের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম শান্তনু দে। জমি প্রমোটারকে দিয়ে ওই ফ্ল্যাটটি পেয়েছিলেন শান্তনু বাবু ও তাঁর দিদি মহাশ্বেতা। দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই থাকতেন দুই ভাইবোন। আর্থিক সমস্যাও ছিল না। সূত্রের খবর, লকডাউনের কারণ কলকাতার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি চাল-ডাল-আলু পৌঁছে দিচ্ছিলেন কাউন্সিলরের লোকেরা। শুক্রবার রাতে সেই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতেই শান্তনুবাবুর ফ্ল্যাটে যান কয়েকজন যুবক। দরজা খুলতেই দুর্গন্ধ পান তাঁরা। এরপর একপ্রকার জোর করে ঘরে ঢুকে পড়ে ওই যুবকেরা। তখনই নজরে পড়ে শান্তনুবাবুর পচাগলা দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় ভবানীপুর থানায়। রাতেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ফাঁকা ফুটপাতে পড়ে থাকা শিশুকে রাতভর পাহারা কুকুরদের, একরত্তির প্রাণ বাঁচল পুলিশ]
কিন্তু কেন কাউকে কিছু না জানিয়ে ভাইয়ের দেহ আগলে রাখলেন মহাশ্বেতাদেবী? প্রশ্ন করা হলে অসংলগ্নভাবে কখনও তিনি বলেন যে, লকডাউনের কারণে বাইরে বেরনো বারণ। তাই কাকে জানাবেন বুঝতে পারেননি তিনি। কখনও আবার বলেন যে, ভাই তাঁর দেখভাল করতেন, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেন। তাই ভাই এভাবে পড়ে আছে দেখে তিনি বুঝতে পারেননি যে কী করা উচিত! এখানেই দানা বাঁধছে রহস্য। কারণ, মহাশ্বেতাদেবী সম্পূর্ণ সুস্থ বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তাহলে কেন এমন আচরণ ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তবে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদে রহস্যের জট খুলবে বলেই আশাবাদী পুলিশ।
[আরও পড়ুন: রেশন সামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মার]
The post রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এবার ভবানীপুরে, ভাইয়ের পচাগলা দেহ আগলে দিদি! appeared first on Sangbad Pratidin.