শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর চার বছরের শিশুকন্যার মৃতদেহ মিলল সেপটিক ট্যাঙ্কে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর পুরসভার রঘুনাথপুরের তিনপাড়ায়। অনুমান, পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে শিশুটিকে। যদিও দুর্ঘটনার তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুকন্যার নাম মেহেনাজ খাতুন। রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ পরিবারের সদস্যরা টের পান যে খুদে আশেপাশে নেই। শুরু হয় খোঁজাখুজি। কিন্তু কোথাও হদিশ মেলেনি তার। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে এলাকার একটি খোলা সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ধার করা হয় দেহটি। খবর পাওয়ামাত্রই খুদের বাবা মোসা শেখ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে শনাক্ত করেন। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: পায়ে হেঁটেই দেশজুড়ে করোনা সচেতনতার প্রচার, প্রশংসা কুড়োচ্ছেন বাংলার প্রৌঢ়]
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর (Jangipur) মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রতিশোধস্পৃহার শিকার কি এই খুদে? পরিকল্পনামাফিক কি খুন করা হয়েছে শিশুটিকে? তারপর প্রমাণ লোপাট করতে দেহটি ফেলে দেওয়া হয়েছে সেপটিক ট্যাঙ্কে? নাকি নিছকই দুর্ঘটনা? তা জানার চেষ্টায় পুলিশ। দ্রুত সত্য প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছেন মৃত খুদের পরিবার-পরিজনের।