অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বেশ কয়েকঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর এলাকারই একটি বাড়ির পাঁচিলের ভিতর থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার সাঁকরাইলের রাজগঞ্জে। ইতিমধ্যেই পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে মৃতার পরিবারের সদস্যরা। কীভাবে মৃত্যু হল নাবালিকার? ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে? কী কারণে এই নৃশংতা? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
হাওড়া সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত রাজগঞ্জ বানীপুর ২ নম্বরের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। শনিবার সন্ধেবেলা আচমকা বেপাত্তা হয়ে যায় ওই নাবালিকা। স্বাভাবিকভাবেই তাকে খোঁজাখুজি করা হয়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। এলাকার মসজিদ থেকে দুবার ঘোষণা করা সত্ত্বেও নাবালিকার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাত ১০ টা নাগাদ এলাকারই একটি বাড়ির পাঁচিলের ভিতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় বছর ছয়েকের ওই শিশুর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শেষেও ডেঙ্গুর দাপট, কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু মালদহের নার্সিং ছাত্রীর]
নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, বিকেল পাঁচটার সময় বাড়ির সামনে খেলছিল সে। আচমকা উধাও হয়ে যায়। শুরু হয় খোঁজ। এদিকে যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানকার গৃহকর্তা বলেন, “আমি হঠাৎই দেখি পাঁচিলের মধ্যে একটি বস্তা। জানি এটা আমার নয়। তাই খুলে দেখি। দেখতে পাই ভেতরে বাচ্চার দেহ। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী ও পুলিশকে খবর দেই।” জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির দেহের নিম্নাংশে কোনও পোশাক ছিল না। তাতেই শারীরিক হেনস্তার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। ঠিক কী ঘটেছিল জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হবে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।