ধীমান রায়, কাটোয়া: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল স্ত্রী। তা নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই ছিল। যার পরিণতি হল মর্মান্তিক। বাপের বাড়ি থেকে উদ্ধার বধূর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে (Bhatar)। তবে মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, শ্বশুরবাড়ির অশান্তির কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে বধূ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সীমা দাস(২৪)। ভাতারের ঢেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। প্রায় ৭ বছর আগে বলগোনা গ্রামের বাসিন্দা রক্ষা দাসের একমাত্র ছেলে বিজয় দাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিজয় পেশায় জনমজুর। ওই দম্পতির দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। জানা যায়, গত বুধবার শ্বশুরবাড়িতে অশান্তির জেরে সীমাদেবীকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঢেড়িয়া গ্রামে দিয়ে আসেন। এরপর শনিবার বাপেরবাড়িতেই সীমাদেবীকে ঝুলন্তবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: ‘BJP’র সংগঠন ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সরদার’, নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের আগে তোপ অর্জুনের]
মৃতার বাবা পল্টু দাস এই ঘটনায় সীমাদেবীর স্বামী বিজয়, শ্বশুর রক্ষা দাস ও শ্বাশুড়ি রবুদেবীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছেন। পল্টু দাসের কথায়, “বিজয় মদের নেশায় আসক্ত। বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বাড়িতে মদ্যপান করত। আমার মেয়েকে সন্দেহ করত। এনিয়ে অশান্তির জেরে মারধর করে আমার বাড়িতে দিয়ে যায়। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কারণেই আমার মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।”
অন্যদিকে, অভিযুক্ত বিজয় দাসের জামাইবাবু অনুপ দাসের গলায় অন্য সুর। উঠে এসেছে পরকীয়ার তত্ত্বও। তাঁর কথায়, “প্রায় চারবছর ধরে সীমার সঙ্গে বলগোনার এক যুবকের পরকীয়া ছিল। এলাকার প্রায় সকলেই বিষয়টি জেনে গিয়েছিল। তা নিয়ে একাধিকবার অশান্তি হয়েছিল। মীমাংসা সভা বসেছিল।” অনুপবাবুর দাবি, বুধবার ওই যুবকের সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় বিজয় দেখে ফেলে। তারপর সীমাকে বাপেরবাড়িতে দিয়ে আসা হয়। কেউ মারধর করেনি। তবে পুলিশ জানায় ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।