সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাস্তা থেকে উদ্ধার হল আইএএস অফিসারের মৃতদেহ৷ মৃতের নাম অনুরাগ তিওয়ারি৷ জানা গিয়েছে, কেরল ক্যাডারের ২০০৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার ছিলেন তিনি৷ বুধবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ৷
জানা গিয়েছে, মৃত আইএএস অফিসার উত্তরপ্রদেশের বহরাইচ এলাকার বাসিন্দা৷ যা লখনউ থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ এদিন সকালে স্থানীয়রাই তাঁর মৃতদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন৷ তাঁরাই পুলিশে ফোন করে জানায়৷ পুলিশ এসে দেখে রাস্তার উপর উল্টে পড়ে রয়েছে মৃতদেহটি৷ অনুরাগের আইকার্ড থেকে তাঁর পরিচয় জানতে পারে পুলিশ৷ প্রায় সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁর দেহ৷ খবর দেওয়া হয়েছে অনুরাগের পরিবারকে৷
[সমতলে জয়ের ধারা অব্যাহত, পাহাড়ে মিরিক দখল তৃণমূলের]
তবে কী কারণে এই মৃত্যু, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, কাছেই মীরা গেস্ট হাইসে গত দু’দিন ধরে ছিলেন অনুরাগ৷ তাঁর পাশের রাস্তাতেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর মৃতদেহ৷ কেন ওই গেস্ট হাউসে তিনি উঠেছিলেন? এর নেপথ্যে কোনও ব্যক্তিগত কারণ ছিল? নাকি পেশার কারণে তিনি এসে উঠেছিলেন সেখানে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ৷
পাশাপাশি আইএএস অফিসারের মৃত্যু নিয়েও সন্দিহান পুলিশ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অনুরাগের৷ আবার এর নেপথ্যে মাফিয়ার হাত থাকতে পারে বলেও অনুমান পুলিশের৷ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা৷
[‘বাবা আমার চিকিৎসা করাও’, মৃত্যুর পর ভাইরাল খুদের আর্তি]
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বরেই আত্মহত্যা করেছিলেন সিনিয়র আইএএস অফিসার সঞ্জীব দুবে৷ লখনউয়ে নিজের বাড়িতেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল তাঁর মৃতদেহ৷ নিজের মৃত্যুর কারণ হিসেবে সুইসাইড নোটে শারীরিক অসুস্থতাকে দায়ী করে গিয়েছিলেন আইএএস অফিসার৷ কিন্তু গুঞ্জন উঠেছিল মানসিক অবসাদ নিয়েও৷ ফের লখনউতেই আরও এক সিনিয়র আইএএস অফিসারের মৃত্যু নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল৷
[সুকমার বদলা, পুলিশ-সেনা যৌথ অভিযানে নিকেশ ২০ মাওবাদী]