সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অফিসের বসের সঙ্গে স্ত্রীকে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বামী। রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের কল্যাণ এলাকায়। যুবতীর অভিযোগ, স্বামীর নির্দেশ না মানায় ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁকে। এরপর তিন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, এর আগে এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই যুবকের। সেই মহিলার সঙ্গে বিচ্ছেদ না করেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ছত্রপতি শিবাজিনগর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতীকে বিয়ে করেন অভিযুক্ত। দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম কয়েক মাস সবকিছু ঠিকঠাক চললেও সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ দেন অভিযুক্ত স্বামী। যুবতীকে জানান, তাঁর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য এই টাকা প্রয়োজন। এরই মাঝে স্ত্রীকে নিয়ে নিজের অফিসের পার্টিতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেখানে অফিসের বসের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য চাপ দেওয়া হয় যুবতীকে। তিনি রাজি না হওয়ায় ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁকে। এরপর তিন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে সম্ভাজী নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। তারপর দিন এই মামলা বাজারপেট থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ড সংহিতায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এমন গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর এলাকার বাসিন্দারাও অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছে পুলিশের কাছে।