সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২১৫ কোটি টাকার দুর্নীতি কাণ্ডে সুকেশের বিরুদ্ধে এবার চাঞ্চল্য়কর তথ্য় ফাঁস করলেন বলিউডের জনপ্রিয় আইটেম গার্ল নোরা ফতেহি। মঙ্গলবার পুলিশকে নোরা জানান, সুকেশ তাঁকে বড় বাড়ি, বিলাসবহুল লাইফস্টাইল দেবে বলে কথা দিয়েছিল। তবে শর্ত রেখেছিল, নোরা যেন তাঁর গার্লফ্রেন্ড হন!
২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি কাণ্ডে ‘ঠগ’ সুকেশ চন্দ্রশেখর মামলায় নাম জড়িয়েছে বলিউডের জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ ও নোরা ফতেহির। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুকেশ মামলায় নোরা ফতেহি সরকারের সাক্ষী হবেন। অন্যদিকে, একটি সংবাদ মাধ্য়মের দাবি, জ্যাকলিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাপ বাড়াতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসের নম্বরের সঙ্গে মিল থাকা ফোন থেকে ভুয়ো কল করেছিল সুকেশ।
ক্রমশই ঠগবাজ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে বলিউডের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন জোরাল হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, বলিউড নায়িকা জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez) সঙ্গে স্রেফ পরিচয়ের জন্যই মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেছিল ধৃত ব্যবসায়ী। একইভাবে টাকা দিয়ে সুকেশ বলিউডের আরও ১২ জন অভিনেত্রীর সঙ্গে সখ্যস্থাপন করতে চেয়েছিল বলেও গুঞ্জন রয়েছে। সেই গুঞ্জনেই প্রথম শোনা যায় নোরা ফতেহির নাম।
[আরও পড়ুন: হিন্দু নন, কেরলের শিবমন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হল না দক্ষিণী অভিনেত্রী অমলা পালকে! ]
এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জ্যাকলিনের মতোই ডাক পাঠানো হয়েছিল নোরাকে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, বিলাসবহুল গাড়ি থেকে দামি হিরের গয়না কিংবা ব্যাগ উপহার দেওয়া হয়েছে ‘গরমি গার্ল’কে। তাহলে কি চন্দ্রশেখর ঘনিষ্ঠ ছিল নোরার? অভিনেত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, এই মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এবং তিনি গত বছরের ডিসেম্বরের আগে চিনতেনও না চন্দ্রশেখরকে। উল্লেখ্য, উপহার পাওয়ার বিষয়টি এখন স্বীকার করলেও প্রথমে কিন্তু জ্যাকলিনের মতোই তথ্যটি চেপে গিয়েছিলেন নোরাও।
জানা গিয়েছে, একটি ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য অভিনেত্রীকে বিএমডবলিউ গাড়ি উপহার দিয়েছিল চন্দ্রশেখর। তাঁর হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিয়েছিল চন্দ্রশেখরের স্ত্রী লীনা মারিয়া পাল। চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে যে ২০০ কোটি টাকার তছরুপের মামলা রুজু হয়েছে সেখানে অন্যতম অভিযুক্ত তার স্ত্রীও।
নোরা জানিয়েছেন, ইভেন্টের আগে লীনা ও আরও কয়েকজন সকলের সামনে ঘোষণা করেন উপহারের কথা। সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন নোরার অন ফ্লোর ম্য়ানেজার, মেকআপ আর্টিস্ট ও স্পট বয়রা। নোরা জানিয়েছেন, তিনি এমন উপহার পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর এমনও মনে হয়েছিল, হয়তো গাড়িটি তাঁকে লোকদেখানো উপহার দেওয়া হচ্ছে। সত্যি সত্যি উপহার দেওয়া হবে না। আমি সকলের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার কিনা। সবাই তাঁকে আশ্বস্ত করেন এটা হয়েই থাকে।