সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করে আবেদন করলেই করোনার ওষুধ পাঠিয়ে দিচ্ছেন সোনু সুদের (Sonu Sood) মতো তারকারা। অতিমারী আবহে এমনটা কীভাবে করছেন তাঁরা? এই প্রশ্নের উত্তর মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকারের কাছে জানতে চাইল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court)। বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।
মহারাষ্ট্রে কোভিড ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির অভিযোগে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তার শুনানি করতে গিয়েই বিচারপতি সুনীল পি দেশমুখ এবং বিচারপতি গিরীশ এস কুলকার্নির ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে সোনু সুদের মতো তারকার পাশাপাশি কংগ্রেস বিধায়ক জিসান সিদ্দিকিকেও (Zeeshan Siddique) একহাত নেওয়া হয়। জানানো হয়, সোনু সুদের মতো তারকারা নিজেদের বোধহয় সত্যিই দেবদূত ভাবতে শুরু করেছেন। অতিমারী আবহে করোনার ওষুধ, ইঞ্জেকশনের মতো জিনিস ডাক্তারদের অন্যতম হাতিয়ার। করোনা মোকাবিলার এমন হাতিয়ার সামাজিক মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন পেয়েই তাঁরা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সেগুলি আদৌ কতটা কার্যকর, তা খতিয়েও দেখছেন না। ভেজাল কিনা তাও দেখা হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: ফেডারেশনের ‘হুমকি’তে বন্ধ ধারাবাহিকের শুটিং, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি আর্টিস্ট ফোরামের]
রেমডিসিভির দিয়ে সাহায্য করেছিলেন সোনু সুদ। লাইফ লাইন মেডিকেয়ার হাসপাতালের একটি দোকান থেকে সেগুলি কেনা হচ্ছে আর তা সরকারের বরাদ্দের বাইরে। অন্যদিকে বিডিআর ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে কিছু মানুষকে সাহায্য করেছিলেন জিসান সিদ্দিকি। কিন্তু ওই সংস্থা নথিভুক্ত নেই বলেই আদালতকে এদিন মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তার জেরেই অভিনেতা এবং বিধায়কের সমালোচনা করে জানানো হয়, অতিমারী (Pandfemic) মোকাবিলায় সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতিতে এঁরা যেন সমান্তরাল এজেন্সি চালাচ্ছেন। এটা ঠিক নয়। মহারাষ্ট্র সরকারকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।