সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিড়ি-সিগারেটের জন্য যদি করোনা আক্রান্ত রোগীদের অবস্থার অবনতি হয়, তবে তা বিক্রি বন্ধের কথা ভাবতে হবে। বম্বে হাই কোর্টের (Bomby High Court) প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচাপরতি গিরিশ কুলকার্নির বেঞ্চ এক মামলার শুনানির সময়ে এই মত প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, কত জন করোনা আক্রান্ত রোগী ধূমপানে আসক্ত।
মুম্বইয়ের এক আইনজীবী স্নেহা মারজাদি বম্বে হাই কোর্টে একটি আবেদন করেন। সেখান হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন, রেমডিসিভির, ওষুধ, বেড এবং বিভিন্ন ল্যাবে করোনা পরীক্ষার বিষয়ে শুনানি চলছিল। সেই সময় দুই বিচারপতি বিড়ি-সিগারেটের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্য করেন। বিচারপতিরা বলেন, সবাই জানেন, করোনার দ্বারা ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর বিড়ি-সিগারেটও যেহেতু ফুসফুসের ক্ষতি করে তাই সংকটজনক রোগীদের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস আরও মারাত্বক। আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেই প্রসঙ্গেই বিড়ি-সিগারেট বিক্রি সাময়িক বন্ধের কথা উঠে আসে।
[আরও পড়ুন: সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ নেই, আরও এক সপ্তাহ বাড়ল দিল্লির লকডাউন]
একই সঙ্গে কোর্ট মহারাষ্ট্র সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে আরও বেশি সংখ্যক ল্যাবকে আরটি-পিসিআর র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার অনুমতি দেওয়া হয়। এবং এই সিদ্ধান্ত আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছে। রেমডিসিভিরের মতো ওষুধও যাতে সঠিক সময় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে রোগীদের কাছে পৌঁছে যায়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে বলেছে। বম্বে হাই কোর্ট একটি পোর্টাল তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছে। যে পোর্টালে কোন হাসপাতালে ক’টি বেড আছে সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। বেড সংক্রান্ত তথ্য চেয়েও যদি কেউ তা না পান, তবে সেই ত্রুটি মার্জনা করা হবে না বলেও মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট।