সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁকে আড়াই বছরের জেল হেফাজতের রায় শুনিয়েছে আদালত। লন্ডনের (London) ওয়ানসওয়ার্থ জেলেই এই সময়টা কাটাতে হবে কিংবদন্তি টেনিস খেলোয়াড় বরিস বেকারকে (Boris Becker)। ৬ ফুট বাই ১২ ফুটের এক কুঠুরিতেই আপাতত রয়েছেন প্রাক্তন তারকা। ঘুপচি সেই সেলের ভিতরে ইঁদুরের উৎপাত প্রবল। যার জেরে প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে ৫৪ বছরের বেকারকে।
স্বামীর এহেন দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন বরিসের স্ত্রী লিলি বেকার। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, ”বরিস ঠিক আছে। এই পরিস্থিতিতে যতটা ভাল থাকা যায়।” এরপরই সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাঁর খোঁচা, ”আর যাই হোক, ওটা তো আর পাঁচতারা হোটেল নয়। তাই না?”
[আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে সম্প্রীতির ছবি, মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসতেই মুসলিমদের উপর ফুল বর্ষণ হিন্দুদের]
মাত্র ১৭ বছর বয়সে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়ে টেনিস বিশ্বে আত্মপ্রকাশ ঘটে বেকারের। বিশ্বজুড়ে বহু টেনিস প্লেয়ারের অনুপ্রেরণা ছিলেন তিনি। কে জানত সেই বরিস বেকারের শেষ জীবনে ভাগ্যে জেল লেখা থাকবে! বেকারের এই পরিণতি অত্যন্ত দুঃখজনক বলেই মনে করছেন তাঁর অনুরাগীরা। ভাগ্যের এমনই পরিহাস যে, যে উইম্বলডনে তিনি তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন (১৯৮৫, ‘৮৬, ‘৮৯) তার থেকে মাত্র ৩.২ কিলোমিটার দূরের জেলেই এখন দিন গুজরান করতে হচ্ছে!
১৭০ বছরের পুরনো এই জেলখানায় এমনিতেই বন্দির সংখ্যা বেশি। ইঁদুরের পাশাপাশি মাদকেরও রমরমা এখানে। আর সেই কারণেই মাঝেমধ্যেই বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়। এমনই এক জেলে থাকতে হচ্ছে তারকা টেনিস খেলোয়াড়কে। কোনও বিশেষ খাতির নয়, একেবারে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে। এমনকী, তাঁকে চুলের রংও বদলাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে ফারাক না থাকে।
এপ্রিল মাসের শুরুতেই চারটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় বরিসকে। যার মধ্যে ছিল দেউলিয়া ঘোষণার পরে তিনি তাঁর সম্পদ প্রকাশ করেননি। শুধু তাই নয়, অর্থ অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছিলেন। ৫৪ বছরের টেনিস কিংবদন্তি বেকার খেলোয়াড় জীবনে ছ’বার গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ২০১৭ সালে তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরে জানা যায়, তিনি গোপনে প্রাক্তন স্ত্রীকে অর্থ দিয়েছিলেন। তাই লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টের বিচারক ডেবোরাহ টেলর তাঁকে আড়াই বছর কারাদণ্ড দেওয়ার সাজা শোনান।