সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লেনিনে শুরু। কিন্তু শেষ কোথায় কেউ বোধহয় জানেন না। মূর্তি ভাঙা কিংবা কালিমালিপ্ত করার রাজনীতি অব্যাহত। আর এই নিয়ে তৃতীয়বার তার শিকার হলেন ভীমরাও রামজি আম্বেদকর। শনিবার সকালে উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদে আম্বেদকরের একটি মূর্তির মাথা ধর থেকে ভেঙে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এলাহাবাদের ত্রিবেণীপুরম এলাকার একটি পার্কে সংবিধানের রূপকারের মূর্তির ভাঙা হয়েছে। ধর থেকে মাথাটি আলাদা হয়ে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এলাহাবাদের সিনিয়র এসপি আকাশ কুলহারি বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি। ঘটনায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তর খোঁজও চলছে।” ওই এলাকায় যাতে আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
[৩১ মার্চ প্রাইম মেম্বারশিপ ফুরিয়ে যাচ্ছে? আপনার জন্য ফের ধামাকা অফার এনেছে Jio]
শুরুটা হয়েছেল লেনিনকে দিয়ে, ত্রিপুরায়। দীর্ঘ আড়াই দশকের বাম জমানার অবসানের পরই ভেঙে দেওয়া হয়েছিল লেনিন মূর্তি। প্রত্যাশিতভাবেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল সদ্য ক্ষমতায় আসা বিজেপি সরকারের দিকে। দিকে দিকে নিন্দার ঢেউ উঠতে না উঠতেই শুরু হয়ে যায় মূর্তি ভাঙার রাজনীতি। কলকাতা থেকে মীরাট, একই ছবি। কখনও দ্রাবিড় আইকন পেরিয়ারের মূর্তিও ভেঙে দেওয়া হয় তো কখনও শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি ভেঙে রাজনীতি চলতে থাকে। যার সাম্প্রতিক নমুনা আম্বেদকরের মূর্তি ভাঙা।
এর আগে আজমগড়ের দুটি আলাদা গ্রামে দু’বার আম্বেদকরেরই মূর্তি ভাঙার ঘটনা সামনে এসেছিল। এলাহাবাদে হল তারই পুনরাবৃত্তি। একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকায় গোড়াতেই সতর্ক হয়ে যায় প্রশাসন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথাও বলেছিলেন। মূর্তি ভাঙায় বারবার বিজেপি সমর্থকদের নাম জড়ানোয় দলের কর্মীদের সতর্ক করেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর হুঁশিয়ারিতে খানিকটা স্তিমিত হয় এই প্রবণতা। তবে একেবারে বন্ধ হয়নি। এলাহাবাদের ঘটনাই তার উদাহরণ। তবে এই কাজে কোনও দল জড়িত কিনা, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি।
[‘ভারত মানে হিন্দুত্ব নয়, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য,’ বাবুলকে পালটা কংগ্রেসের]
The post যোগীর রাজ্যে মূর্তি ভাঙার রাজনীতিতে ফের আক্রান্ত আম্বেদকর appeared first on Sangbad Pratidin.