সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সঙ্গে ক্রমে বেড়ে চলা সংঘাতের আবহে বড় পদক্ষেপ ভারতের। এবার বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইলকে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সবুজ সঙ্কেত দিল সরকার। এর ফলে নিরাপদ দূরত্ব থেকে চিনা সামরিক ঘাঁটি বা বিমান গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা।
[আরও পড়ুন: লাদাখ ইস্যুতে এবার আলোচনা বিরোধীদের সঙ্গেও, ১৯ জুন সর্বদল বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী]
চলতি বছরের শুরুতেই ভারতের অত্যাধুনিক সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের সফল সংযোজন ঘটানো হয়। মিসাইলটির নির্মাতা BrahMos Corporation জানিয়েছে, সমস্ত পরীক্ষানিরীক্ষা শেষ হয় গিয়েছে। এবার সরাসরি যুদ্ধে মিসাইলটিকে ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা। লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ব্রহ্মসকে সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়ার সবুজ সঙ্কেত দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। বাহিনীতে কোনও নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের অন্তর্ভুক্তি হওয়ার পর তাকে সরকারিভাবে ব্যবহার করার জন্য একটি অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এটাই শেষ ধাপ। এর পর কমব্যাট মিশন বা সম্মুখসমরে মিসাইলটিকে ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় যুদ্ধবিমান।
রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই মিসাইলগুলির ফলে চিন ও পাকিস্তানকে এক সঙ্গে টেক্কা দিতে পারবে সেনা। গত ডিসেম্বর মাসেই অত্যাধুনিক SU-30 MKI বা সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে একটি ব্রহ্মস মিসাইল ছোঁড়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডা বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে মিসাইলটি নিয়ে পাড়ি দেয় সুখোই বিমানটি। তারপর ওড়িশা উপকূলের কাছে সমুদ্রের উপর মাঝ আকাশে নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে ছোঁড়া হয় মিসাইলটি। ওই পরীক্ষা সফল হয়। নয়া নজির গড়ে বিশ্বে প্রথম যুদ্ধবিমান থেকে ‘ট্রাইসনিক ক্লাস’ মিসাইল ছুঁড়ে ভারতীয় বাযুসেনা। ২.৫ টন ওজনের এই মিসাইলটি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। ফলে লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে সহজেই চিনা ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করতে পারবে ভারতীয় বাহিনী।
[আরও পড়ুন:করোনা LIVE UPDATE: রাজ্যের নার্সিংহোমগুলিকে দিতে হবে ফাঁকা বেডের আপডেট, বৈঠকে বসবেন মুখ্যসচিব]
The post ‘ড্রাগন’ বধে প্রস্তুত ফৌজ, যুদ্ধে ব্রহ্মস মিসাইল ব্যবহারে সবুজ সংকেত দিল ভারত appeared first on Sangbad Pratidin.