সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব রেসলিং (World Wrestling Entertainment) দুনিয়ায় শোকের ছায়া। মাত্র ৩৬ বছরে চিরঘুমে চলে গেলেন ব্রে ওয়াট (Bray Wyatt)। যার পোশাকি নাম উইন্ডহ্যাম রোটুন্ডা (Windham Rotunda)। গত কয়েকবছর ধরেই মারাত্মক শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তবে তাঁর পরিবারের দাবি, মৃত বে ওয়াটের অসুস্থতার বিষয়ে কেউ কিছুই জানতেন না। শারীরিক অসুস্থতার জন্য গত কয়েক মাস ধরে তিনি রিং এবং টেলিভিশন থেকে দুরে ছিলেন। উইন্ডহ্যাম রোটুন্ডা তাঁর বংশে তৃতীয় প্রজন্মের রেসলার ছিলেন। তাঁর বাবার নাম মাইক রোটুন্ডা এবং ঠাকুরদার নাম ব্ল্যাকজ্যাক মুলিগান।
২০১২ সালে রোটুন্ডা এবং সামান্থা বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের দুই কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে ২০১৭ সালে তাঁরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ইতিমধ্যে রোটুন্ডা এবং কুস্তির রিং অ্যানাউন্সার জোজো নিজেদের সম্পর্কের কথা খোলসা করেন। জোজোও দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গত বছর জোজো এবং রোটুন্ডার বিয়েও হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘মাদার অফ অল ব্যাটল’-এ কোন দল এগিয়ে? জবাব দিলেন মহারাজ]
এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছে গোটা রেসলিং দুনিয়া। একটি টুইট করে প্রবাদপ্রতিম ট্রিপল এইচ গোটা বিশ্বের সঙ্গে এই শোক সংবাদটি শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘রেসলিং দুনিয়ার হল অফ ফেম খ্যাত মাইক রোটুন্ডা ফোন করেছিলেন। সঙ্গে এই দুঃখের খবরটি আমাকে জানালেন। রেসলিং পরিবারের আজীবন সদস্য ছিলেন উইন্ডহ্যাম রোটুন্ডা। তাঁকে ব্রে ওয়াটের নামেও অনেকে চিনত। কিন্তু আজ আচমকাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। ওর পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল। সেইসঙ্গে আপনাদের কাছেও অনুরোধ করছি, এই কঠিন সময় ওর পরিবারের গোপনীয়তা বজায় রাখা হোক।”
রেসলিং দুনিয়ার আর এক চেনা ব্যক্তিত্ব হলেন ডোয়েন জনসন। যিনি দ্য রক নামেই খ্যাত। তিনিও টুইটারে লিখেছেন, ‘ব্রে ওয়াটের মৃত্যুতে একেবারে ভেঙে পড়েছি। রোটুন্ডা পরিবারের সকলের প্রতি সমবেদনা ও ভালবাসা রইল।’
[আরও পড়ুন: হৃদয় জেতা প্রজ্ঞার সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন মা নাগালক্ষ্মী]
রেসলম্যানিয়া ৩৯ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি ওয়াট। পাশাপাশি একটি ঝামেলার কারণে ইভেন্টের কয়েক সপ্তাহ আগেই তাঁকে টেলিভিশন থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি আগস্ট মাসেই আশা করা হয়েছিল, তিনি হয়ত রেসলিং দুনিয়ায় ফের কামব্যাক করতে পারবেন। শোনা যাচ্ছিল, আগের থেকে তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু সংবাদ সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে।